নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ২০ জুন ৷৷ পরিকাঠামোর অভাবে দুইদিন ধরে কফিনবন্দি ছিল বরফ চাপা নিথর দেহ৷ অবশেষে আগরতলা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গিয়ে আজ ময়না তদন্ত করলেন ধর্মনগরে ধর্ষণের পর খুন হওয়া শিশুকন্যার মৃতদেহ৷ দুইদিন ধরে কফিনে বরফ দিয়ে রাখা হয়েছিল শিশুটির নিথর দেহ৷ আজ ময়না তদন্তের পর তার নিথর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার তার বাবা-মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷ তাঁদের আর্ত চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছিল হাসপাতাল চত্বর৷
মঙ্গলবার ধর্মনগরের হাফলং ছড়ার কার্গিল টিলায় ছয় বছরের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল৷ তাকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করেছিল দুই যুবক৷ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে৷ এই হত্যাকান্ড নিয়ে পুলিশী প্রক্রিয়া নিজ গতিতে চলেছে৷ কিন্তু, হতদরিদ্র পরিবার তাদের সন্তানের নিথর দেহ পেয়েছে দুইদিন পর৷
ধর্মনগর হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাবে ওই শিশুর ময়না তদন্তের জন্য আগরতলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন৷ কিন্তু, নানা অসুবিধার কারণে আগরতলা থেকে চিকিৎসক গিয়ে ময়না তদন্ত করবেন বলে স্থির হয়৷ অবশ্য, এ-বিষয়ে ধর্মনগর মন্ডলের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রূপালী অধিকারী এবং উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের ঐকান্তিক চেষ্টায় অবশেষে আগরতলা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা গিয়ে শিশুটির ময়না তদন্ত করেছেন৷
ধর্মনগর মহকুমা হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, আজ আগরতলা থেকে ডাঃ প্রদীপ্ত নারায়ণ চক্রবর্তী এবং ডাঃ প্রসেঞ্জিত দাস এসেছেন৷ তাছাড়া, মহকুমা হাসপাতালের ডাঃ উৎপলেন্দু নাথ, ডাঃ সুদীপা বিশ্বাস এবং ডাঃ অনুপ গোস্বামী তাঁদের ময়না তদন্তে সহায়তা করেছেন৷ তিনি জানান, মহিলা থানার পুলিশ অফিসার সঞ্চিতা দেবনাথ, উত্তর ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপার, ধর্মনগর থানার ওসি, ধর্মনগরের এসডিপিও তাঁদের যৌথ প্রয়াসেই আজ ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে৷
এদিকে, ময়না তদন্তের পর ওই শিশুর নিথর দেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ সন্তানের মৃতদেহ দেখে তার বাবা-মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷ তাঁদের আর্তনাদে হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত সকলের মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে৷ এদিন প্রশাসনের তরফে গাড়ি ভাড়া করে ওই শিশুর কফিনবন্দি মৃতদেহ কৈলাসহরের মূর্তিছড়া চা বাগান এলাকায় নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে৷