মুম্বই, ৫ জুন (হি.স.) : ঈদের দিনে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল। শালিমার-মুম্বই এক্সপ্রেসে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক ও ডিটোনেটর। সমস্ত তার ব্যাটারির সঙ্গে যুক্ত করা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কোনওভাবে ব্যাটারির সঙ্গে ডিটোনেটরের সংযোগ ঘটলেই বড়সড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে মনে করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে বিস্ফোরকগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে মুম্বই পুলিশের স্পেশাল ফোর্স। তবে কীভাবে এই পরিমাণ বিস্ফোরক ট্রেনে আসল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুরো মুম্বই রেল ইয়ার্ড খালি করে চলছে তল্লাশি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার শালিমার থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। আজ বুধবার সকালে যাত্রী নিয়ে মুম্বই পৌঁছয়। পুরো ট্রেনটি খালি করে যখন রেল ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ট্রেনটি পরিস্কার করার সময় বিপুল পরিমাণ এই বিস্ফোরক পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরেই খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশ এবং মুম্বই পুলিশের বম্ব-স্কোয়াডকে।
ঘটনাস্থলে এসে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর সেগুলি দ্রুত নিষ্ক্রিয় করে বম্ব-স্কোয়াড। জানা যায়, বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটাতেই ব্যাটারির সঙ্গে সমস্ত ডিটোনেটর যুক্ত করা ছিল। ছিল শুধু সংযোগের অভাব। আর তা না হওয়াতেই বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে শালিমার-মুম্বই এক্সপ্রেস।
তবে কীভাবে এই পরিমাণ বিস্ফোরক ট্রেনে আসল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রাতের অন্ধকারে কোনও স্টেশন থেকে সেগুলি তোলা হয়েছে নাকি শালিমার স্টেশন থেকেই সেগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ট্রেনে সবসময় রেল পুলিশ থাকেন। যদি রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এই বিস্ফোরক ট্রেনে পাচার করে তাহলে কীভাবে তা রেল পুলিশের নজর এড়িয়ে গেল? এনিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে এই ট্রেনে ডিউটি করেছেন এমন আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদও। ইতিমধ্যে শালিমার স্টেশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরে মুম্বই স্টেশনে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে সমস্ত যাত্রীদের ব্যাগ থেকে শুরু করে ট্রেনগুলিকে।