মোদীর প্রতি আস্থা ও অমিত শাহের রণকৌশলেই পুনরায় কেন্দ্রের ক্ষমতায় বিজেপি : বিপ্লব দেব

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মে৷৷ নরেন্দ্র মোদীর প্রতি দেশবাসীর আস্থা এবং অমিত শাহ-র রণকৌশলেই বিজেপি বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুণরায় কেন্দ্রে সরকার গঠন করছে৷ একটি বৈদ্যুতিক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ-কথা জোর দিয়ে বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তাঁর কথায়, সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে পরিবারতন্ত্র, কমিউনিজম এবং বাহুবলি আচরণ সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে৷ তার বদলে উন্নয়ন স্থান পেয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরাই বিজেপি-কে ভোট দিয়েছেন৷


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় রাজনীতি কৌশলগত দিক দিয়ে নতুন পদ্ধতি এনেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ পৃষ্ঠাপ্রমুখ, এসএমএস-র মাধ্যমে সদস্যপদ সংগ্রহ, এধরনের পদ্ধতি ভারতীয় রাজনীতিতে কখনই ছিল না৷ তাঁর দাবি, বিজেপি সভাপতির এই নতুন পদ্ধতিগুলির জন্যই জনসম্পর্ক বিরাট আকার ধারণ করেছে৷ বিপ্লব দেব জোর গলায় বলেন, অমিত শাহ-র রাজনৈতিক রণকৌশল এবং নতুন পদ্ধতির কারণে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে৷


বিপ্লব দেবের কথায়, অতীতে নির্বাচনগুলিতে শুধুই ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশে রাজনীতি হতো৷ কিন্তু, এবার নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কাউকে সুর চড়াতে দেখা যায়নি৷ তিনি কটাক্ষ করে বলেন, কংগ্রেস সহ বিরোধীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই ধর্মনিরপেক্ষতার নামে রাজনীতি করতেন৷ তাঁরা তোষণের রাজনীতি পছন্দ করতেন৷ কিন্তু, এবার নির্বাচনে তোষণের রাজনীতি সমাপ্ত হয়েছে৷ তাঁর মতে, পরিবারতন্ত্র, কমিউনিজম এবং বাহুবলি আচরণের রাজনীতিই শেষ হয়ে গিয়েছে৷ কারণ, দেশবাসী উন্নয়নকে বাছাই করেছে৷


এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানের জন্য তৃণমূল সমর্থকদের কুর্ণিশ জানিয়েছেন৷ তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সমর্থকরা বিজেপি ভোট দিয়েছেন৷ বিপ্লব দেব মনে করেন, তৃণমূল নেত্রীর স্বৈরাচারী শাসন এবং সিন্ডিকেট রাজের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে জনাদেশ এসেছে৷ মমতা ব্যাণার্জির শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে সেখানে মানুষ বিজেপির উত্থান হোক চেয়েছে৷


বিপ্লব কুমার দেব বলেন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতিকে প্রচারে বাধা দিয়েছে তৃণমূল৷ বিষ্ণুপুরে শেষ মুহুর্তে তাঁর সভা বাতিল করে দিয়েছে প্রশাসন৷ শুধু তাই নয়, রোড শো-ও করতে পারেননি তিনি৷ বিপ্লবের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে চারটি স্থানে তাঁর সভা বাতিল করে দিয়েছে প্রশাসন৷ এধরনের স্বৈরাচারী মনোভাব কোন গণতন্ত্রের জন্য সুখকর হতে পারে না, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন তিনি৷ তাই, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির দরুণ বিজয় হয়েছে, দাবি বিপ্লবের৷