মণিপুরে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ত্রিপুরার মেডিক্যাল পড়ুয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহযোগিতায় সুস্থ হয়ে ফিরল, কৃতজ্ঞতা বাবা-মায়ের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মে৷৷ মণিপুরের ইম্ফলে মেডিক্যাল পড়ুয়া ত্রিপুরার ছাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহযোগিতায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে৷ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মণিপুরের থউবাল জেলার হোকায় সংঘটিত এক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন সঙ্গম চৌধুরী৷ ওইদিন দুর্ঘটনায় তাঁর সহপাঠী অভয় দেবনাথের মৃত্যু হয়েছিল৷ অন্য আরেক সহপাঠী অনির্বাণ চৌধুরীও আহত হয়েছিলেন৷ তাঁরা তিনজন ত্রিপুরার ছাত্র৷ কিন্তু সঙ্গমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য৷ তাঁকে কলকাতায় পাঠানোর সমস্ত আয়োজন ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেছিলেন, তা আজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সঙ্গমের বাবা সজল চৌধুরী৷


এদিন ছেলেকে নিয়ে সজল চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী শম্পা সরকার ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে কৃতজ্ঞতা জানান৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জন্যই তাঁদের সন্তান সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে, সাংবাদিকদের এ-কথা জানিয়েছেন সঙ্গমের বাবা সজল চৌধুরী৷ তিনি বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খবর আসে সঙ্গম দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে৷ তাঁর দুই সহপাঠীর মধ্যে একজন মারা গেছে, অপর জন আহত অবস্থায় চিকিৎসা চলছে৷ তিনি বলেন, খবর পেয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ি৷ আমার স্ত্রী বারবার সংজ্ঞা হারাচ্ছিলেন৷ তারপর গুহায়াটি হয়ে মণিপুরে গিয়ে পৌঁছি৷ তিনি জানান, সঙ্গম মণিপুরে রিজিউন্যাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স কলেজের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র৷ ওইদিন লোকতাক থেকে তাঁরা তিন বন্ধু বাইকে চেপে ইমফল ফেরার সময় থউবালের হোকায় ট্রাকের সাথে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷

তাতে, তিনজনই গুরুতর আহত হয়৷ এর মধ্যে বাইক চালক অভয় দেবনাথের মৃত্যু হয়৷ ওই ঘটনা সম্পর্কে সঙ্গম জানান, আমার মাথায় হেলমেট ছিল, তাই বরাত জোরে বেঁচে গেছি৷ তবে, দুর্ঘটনার পর আমার জ্ঞান ছিল না৷ যখন জ্ঞান ফিরে, তখন আমি কলকাতায় হাসপাতালে ভরতি৷সজলবাবু জানান, ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক জানতে পেরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার চেষ্টা করি৷ কিন্তু, সামর্থ হয়নি ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার৷ এরই মধ্যে বিষয়টি ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ জানতে পারেন৷ তিনি সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের বন্দোবস্ত করে মণিপুরে পাঠান৷ সেখান তাঁকে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তিনি জানান, ২৪ দিন চিকিৎসার পর সঙ্গম সুস্থ হয়ে ওঠে৷ এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ৷ ইতিমধ্যে কলেজেও যোগ দিয়েছে৷ আজ তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছি, বলেন সজলবাবু৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *