
নয়াদিল্লি, ৩০ এপ্রিল (হি.স.) : পিছিয়ে গেছে নরেন্দ্ৰ মোদী এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে নিৰ্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের আবেদনের শুনানি। আজ মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী এবং বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে শিলচরের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী সুস্মিতা দেবের আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু এই আবেদন সম্পর্কে নিৰ্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয় তার অপেক্ষা করার নিৰ্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ওপর শুনানি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
নিৰ্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে শিলচরের সাংসদ সুস্মিতা দেব প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে উচ্চতম আদালতে আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনের ভিত্তিতে উচ্চতম আদালত নিৰ্বাচন কমিশনের কাছে কংগ্ৰেস নেত্রীর অভিযোগ সম্পর্কে এক নোটিশ পাঠিয়েছে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ সুস্মিতা দেবের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য নিৰ্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে বলেছে বাদি পক্ষকে।মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতে কংগ্ৰেসি সাংসদ সুস্মিতা দেবের কৌঁসুলি তথা কংগ্ৰেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি যুক্তি প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, গত ২৩ এপ্ৰিল অনুষ্ঠিত সাধারণ নিৰ্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্ৰহণের দিন গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্ৰ মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ নিৰ্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ওইদিন তাঁরা দেশের সুরক্ষা বাহিনীর নাম নিয়ে ঘৃণ্য এবং বিভাজনের রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদি সুস্মিতা দেব।
আবেদনপত্রে সুস্মিতা লিখেছেন, মোদী ও শাহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রামাণিক তথ্য সহকারে নিৰ্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানিয়ে উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু রহস্যজনকভাবে কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কেবল তাঁর আবেদনই নয়, অনুরূপ প্রায় ৪০টি অভিযোগনামা নির্বাচন কমিশনের হাতে দেওয়া হয়েছিল, অথচ কমিশন নীরবতা অবলম্বন করেছে। তাই তিনি বাধ্য হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিৰ্বাচন কমিশনের কাছে কংগ্ৰেস নেত্রীর অভিযোগ সম্পর্কে জবাব চেয়ে এক নোটিশ পাঠিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।