নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ এপ্রিল৷৷ সম্প্রতিকালে রাজ্য খুনের ঘটনা অনেক ঘটলেও আততায়িরা অজ্ঞাত করণে প্রশাসনের ধরা ছোায়ার বাইরে৷ একটি খুনের ঘটনা সংগঠিত হওয়ার ২-৩ দিন পর্যন্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকলেই সরব থাকেন৷ তারপর সেই ঘটনার আর কোন হদিশ থাকেনা৷ বিচারে বাণী নিরবে নিভৃতে কেঁদে মরে৷ এমনই একটি ঘটনার স্বাক্ষী বহন করছে রাজধানী নেতাজী চৌমুহনী সংলগ্ণ ভাড়াটিয়া নারায়ন দত্তের বাড়িতে৷ নারায়ন দত্তের মূল বাড়ি আমতলীতে৷ ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার জন্য ১৬ বছর যাবত তিনি নেতাজী চৌমুহনী এলাকায় ভাড়া থাকেন৷ ঘটনা ২০ মার্চ বুধবার আনুমানিক দুপুর ১২টা নাগাদ নারায়ন দত্তের ছেলে জয় দত্ত তার বাবা এবং মার অনুপস্থিতিতে একটি ফোন পেয়ে তার বোনকে একটু আসি বলে বেড়িয়ে যায়৷ তারপর বিকেল ৪টা পর্যন্ত সে ফিরে না আসায় জয়ের মা তার বন্ধু জয়দীপ পালের কাছে গিয়ে তার খোজ খবর নেন৷ কিন্তু জয়দীপ তাকে দেখেনি বলে৷ পরবর্তীতে সন্ধ্যায় জয়দীপ পাল সুকটিতে তেল ভরার কথা বলে টাকা নেয় জয়কে খোজ করার জন্য বলেও জানা জয়ের মা লীলা দত্ত৷

জয়ের মা লীেলা দত্ত জানান ২০ তারিখ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোজাখুজি করার পরও তার ছেলে জয়কে না পেয়ে পশ্চিম থানায় একটি মিসিং ডাইরী করেন৷ কিন্তু তিন দিন পর্যন্ত তার কোন হদিশ পায়নি৷ অবশেষে ২৩ তারিখ স্থানীয় মণ্ডল থেকে খবর আসে যে জিবিতে একটি মরদেহ আছে আপনি গিয়ে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন সেটি আপনার ছেলে কিনা৷ তারপর তিনি জিবি হাসপাতালে গিয়ে তার ছেলের মরদেহ সনাক্ত করেন৷ যে তিনজন জয়দীপ লাল, ঋতুরাজ এবং সাগনিক জয়কে খোঁজার জন্য উনার কাছ থেকে টাকা নেন তারাই যে তার ছেলেকে খুন করেছে তা উনার জানা ছিলনা, তিনি বলেন এরাই প্রকৃত খুনী৷ এদিকে সাগনিক পুলিশের সামনে তার বয়ানে বলে যে তার দুই বন্ধু তাকে লেইকে স্নান করতে গেলে জলে নামতে বারন করে বলে তাদের কোন একজনকে জলের নীচ থেকে কিসে টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷ তখন সে তার বন্ধুকে জলে ডোবা থেকে বাঁচাতে অন্য লোকজনদের ডাকতে গেলে ঋতরাজ তাঁকে বাধা দিয়ে কাউকে ডাকতে বারন করে এবং তার অন্যথায় তাকে গলাটিপে মেরে ফেলবে বলে হুমতিও দেয় বলে জানায় জয়ের মা লিপি দত্ত৷ ছেলেকে হারিয়ে নিথর মা লিপি দত্ত বাবা নারায়ন দত্ত পরবর্তীতে পূর্ব থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন৷ কিন্তু ঘটনার ১ মাস অতিক্রান্ত হলেও পুলিশের তদন্তের কোন অগ্রগতি নেই৷ নাই এ সম্পর্কীয় কোন তথ্যও৷ খুনের কিনারা আদৌ হবে কিনা এ নিয়ে রয়িছে জনমনে সংশয়৷ পুত্র হারা মা পাবে কি তার ছেলের বিচার?