নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ এপ্রিল৷৷ আরটিআইর আবেদনপত্র হাফিজ করে দেয়ার কারণে আগরতলা পুর নিগমের এক কর্মচারীকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ তিনি আগরতলা পুর নিগমের আরটিআই এর ড্রিলিং এসিসটেন্ট ইসমাইল মিয়া৷ আগরতলা পুর নিগমের প্রথম আপিলেট অথরিটি শৈলেস যাদব এই বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন৷

গত ১০ই এপ্রিল বিকাল চারটায় আগরতলা পুর নিগমের প্রথম আপিলেট অথরিটিতে প্রথম আপিলের শুনানি চলে৷ শুনানি কালে শৈলেশ যাদব, ইসমাইল মিয়া নামক এক কর্মচারীকে বরখাস্তের নির্দেশ দিলেন৷ কারণ, এএমসি’র জনতথ্য আধিকারিক, অরুণ রায় ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি এক আরটিআই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোন তথ্য সরবরাহ করেননি৷ কারণ, ইসমাইল নামের ঐ কর্মচারী ঐ দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্যের অভিযোগপত্রটি এবং প্রমাণ লোপাট করে দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত এক সহকর্মীকে বাঁচাতে চেয়েছিল৷ আর এতেই তিনি ফেঁসে গেল৷
শৈলেশ যাদব সম্পর্কে অনেকেই অনেক কথা বলেন৷ কিন্তু এদিন তাকে রাজধর্ম পালন করতে দেখা গেল৷ শুনানি চলার সময়ে তিনি ডেপুটি কমিশনার, অরুণ রায়কে নির্দেশ দেন যে আজই তিনি ইসমাইলের বরখাস্তের আদেশে স্বাক্ষর করবেন৷ শুনানি শেষে অরুণ বাবু হেড ক্লার্ককে ডেকে এনে নির্দেশ দিয়েছেন ফাইলে নোট দিয়ে যাদব সাহেবের নিকট পাঠাতে এবং ঘটনার তদন্ত করতে৷
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে জগহরিমুড়ার ৩১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৌতম সাহার স্ত্রী তনুশ্রী সাহার নামে একটি এওয়াই ঘর অনুমোদন দেয় আগরতলা পৌর সভা৷ অনুরূপভাবে ২০১৭ সালে আবার তনুশ্রীকে অবৈধ ভাবে ঘর দিয়ে দেয় কাউন্সিলার মায়া রানী সাহা৷ এই দর্নুীতির বিরুদ্ধে এডভোকেট চন্ডীদাস ভট্টাচার্য গত ২৬.১১.২০১১ তারিখে পৌর কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন যার নম্বর ছিল ৭৮৬১৷ এই অভিযোগ হাপিজ করে দেওয়ার কারণে কমিশনার কোন কিছু করতে পারেননি৷ এরপর চন্ডিবাবু ২১.০১.২০১৯ তারিখে আরটিআই করে জানতে চান যে তার অভিযোগপত্রটির বিষয়ে একশান টেকেন রিপোর্ট সরবরাহ করতে৷ আরটিআইএর আবেদনটিও ইসমাইল মিয়া হাপিজ করে দেওয়ার কারণে চন্ডিবাবু কোনও উত্তর পাননি বলে জানা গেছে৷ ১০.০৪.২০১৯ তারিখে চন্ডিবাবুর আপিলের শুনানির দিনে এই বিষয়টি সামনে আসে ফলে ইসমাইলকে বরখাস্ত করেন কমিশনার শৈলেশ যাদব৷ এডভোকেট চন্ডিদাস ভট্টাচার্য্যের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আরটিআই এক্টিভিস্ট রানা প্রতাপ ভৌমিক৷