নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ এপ্রিল৷৷ রাজ্য সরকারের উপর চাপ বজায় রেখেই আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করলেন চিকিৎসকরা৷ শনিবার আইএমএ হাউসে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ রাজ্য সরকার তাদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এটিজিডিএ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ রাজেশ চৌধুরী৷ তবে, আগামী দিনে চিকিৎসকদের উপর এ ধরনের আক্রমণ সংগঠিত হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন চিকিৎসকরা এই হুমকিও দিয়েছেন ডাঃ চৌধুরী৷ এদিকে, চিকিৎসায় গাফিলতির সমস্ত দায় রাজ্য সরকারের ঘাড়ে তুলে দিয়েছে চিকিৎসকরা৷ ডাঃ কনক চৌধুরীর কথায়, রোগীর অস্বাভাবিক চাপ, চিকিৎসক ও কর্মীর স্বল্পতা এবং চিকিৎসা সামগ্রীর ঘাঁটতির কারণেই চিকিৎসায় গাফিলতি হচ্ছে৷

এদিন ডাঃ রাজেশ চৌধুরী বলেন, শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক হয়েছে৷ বৈঠকে চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের দাবি গুলি সম্পর্কে অবগত করেছেন৷ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের সমস্ত দাবি পূরণের সম্মতি জানিয়েছেন৷ ইতিমধ্যে, জিবি ও আইজিএম হাসপাতালে পুলিশী নিরাপত্তা বসানো হয়েছে৷ ডাঃ চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, পিএইচসি এবং সিএইচসি গুলিতেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে৷ এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে তাই মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত থানায় নির্দেশ দিয়েছেন নিজ নিজ এলাকায় পিএইচসি এবং সিএইচসি গুলিতে বাড়তি নজরদারি রাখতে হবে৷
ডাঃ কনক চৌধুরীর কথায়, রাতে হাইকোর্ট খুলে চিকিৎসককে মারধোরের ঘটনায় অভিযুক্তদের জামিন বাতিলের বিষয়টি খুবই প্রশংসনীয়৷ এই সমস্ত কারণে আজ সর্বসম্মনিতক্রমে আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ আজ থেকেই প্রাইভেট প্র্যাকটিস্ এবং সামাজিক কাজকর্মে পূণরায় যোগ দেবেন চিকিৎসকরা৷ তবে, পরিস্থিতির উপর ক্রমাগত নজর রাখা হবে৷ আগামী দিনে চিকিৎসকদের উপর আক্রমণ হলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর রূপ নেবে বলে তিনি হুমকি দিয়েছেন৷
এদিকে, চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন চিকিৎসকরা৷ ডাঃ কনক চৌধুরী বলেন, হাসপাতাল গুলিতে রোগীর মারাত্মক চাপে মানসিক অবস্থা ঠিক রাখা সম্ভব হয় না৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে চিকিৎসকের ভিষণ ঘাঁটতি রয়েছে৷ এরই সাথে নার্স ও জিডিএ কর্মীরও ভিষণ অভাব রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, চিকিৎসা সামগ্রীও পর্যাপ্ত হারে পাওয়া যায়না৷ ফলে, হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাঁড়লে তাদের চিকিৎসায় অনেক সময়ই ত্রুটি হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, চিকিৎসক ঘাঁটতি এবং নার্স ও জিডিএ কর্মীদের স্বল্পতা মিটলে তবেই ভুল চিকিৎসার ঘটনা এ রাজ্যে ঘটবে না৷