
আমেঠি (উত্তর প্রদেশ), ১১ এপ্রিল (হি.স.): কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর পর এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি| বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) উত্তর প্রদেশের আমেঠি লোকসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি| প্রথমে ঠিক হয়েছিল, আগামী ১৭ এপ্রিল আমেঠি লোকসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন স্মৃতি ইরানি, কিন্তু ওই দিন ছুটি| তাই ১১ এপ্রিলই মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন স্মৃতি ইরানি| এদিন গৌরীগঞ্জে (আমেঠি জেলা সদর) মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রাক্কালে বিশেষ পূজার্চনাও করেন স্মৃতি ইরানি| সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বামী জুবিন ইরানিও। পুজো দেওয়ার বেশ কিছুক্ষন পর আমেঠি লোকসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
প্রসঙ্গত, আমেঠি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্মৃতি ইরানি| বুধবারই আমেঠি লোকসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন রাহুল। আমেঠিতে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৬ মে| উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি ছাড়াও কেরলের ওয়ানাড লোকসভা আসন থেকেও লড়বেন রাহুল গান্ধী| ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১.০৭ লক্ষ ভোটে স্মৃতি ইরানিকে পরাজিত করেছিলেন রাহুল গান্ধী| এবার কি হয়, তার জন্য ২৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে|
অপরদিকে, বৃহস্পতিবারই উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী| ফিরোজ গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধীর কেন্দ্র রায়বেরেলিতে এবারও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন সোনিয়া গান্ধী। মনোয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে এদিন সকালে কংগ্রেস অফিসে বিশেষ যজ্ঞ ও পূজার্চনা করেন সোনিয়া গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন ছেলে রাহুল গান্ধী এবং মেয়ে প্রিয়াঙ্কা। পুজো শেষে রোড শো করে কালেক্টরেট অফিসে গিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে সোনিয়া বলেছেন, ‘মোদী মোটেও অপরাজেয় নন। ২০০৪ ভুলবেন না। বাজপেয়ীজী অজেয় ছিলেন, কিন্তু আমরা জয়ী হয়েছিলাম।’ আবার রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘বিগত ৫ বছরে দেশের জনগণের জন্য কিছুই করেননি নরেন্দ্র মোদী। সে আদৌ অপরাজেয় কি না, তা জানা যাবে ভোটের ফলাফলের পরই। প্রসঙ্গত, রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্র থেকেই এর আগেও ২০০৯ ও ২০১৪-র সাধারণ নির্বাচন এবং ২০০৪ ও ২০০৬-এর উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী| উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সাল থেকে উপনির্বাচন মিলিয়ে মোট ১৯ বার এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস এবং মাত্র তিনবার পরাজিত হয়েছে।