
নয়াদিল্লি, ১০ এপ্রিল (হি.স.): কয়েক কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় বুধবার আরজেডি প্রধান ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় ১৪ বছরের জন্য লালুপ্রসাদকে হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ লালুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় জামিনের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরজেডি প্রধান। ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত দেওঘর, দুমকা এবং চাইবাসার দুটি তহবিল থেকে অর্থ তছরূপির জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে দোরান্দা ট্রেজারি সম্পর্কিত আরেকটি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার চলছে তাঁর এবং একইসঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সাইন্সেস (আরআইএমএস)-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ায়, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব।
কিন্তু, এদিন প্ৰধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সেই আরজি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, “১৪ বছরের হাজতবাসের নির্দেশের তুলনায় ২৪ মাসের হাজতবাস কিছুই নয়।” লালুপ্রসাদের পক্ষে শীর্ষ আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, “তাঁর কাছ থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। ষড়যন্ত্রের অপরাধে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।” কপিল সিবালের সওয়ালের জবাবে শীর্ষ আদালত পাল্টা জানিয়েছে, “মামলার এই দিকগুলি বিচার করবে হাইকোর্ট। এখানে শুধু জামিনের আবেদনের শুনানি চলছে।” এর আগেই, মঙ্গলবার লালুপ্রাসাদের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হয়েছিল, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সক্রিয় হতে আচমকাই নিজেকে ‘সম্পূর্ণ সুস্থ’ বলে দাবি করছেন অসুস্থ আরজেডি নেতা।” উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে লালুপ্রসাদ যাদব বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে যার সঙ্গে সরকারি তহবিল তছরুপের বিষয়টিও জড়িত।