বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার একজন ভিন্ন ব্যক্তির কণ্ঠস্বর, সঙ্কল পত্রকে খোঁচা রাহুল গান্ধীর

নয়াদিল্লি, ৯ এপ্রিল (হি.স.): আমাদের প্রেরণা রাষ্ট্রবাদ, অন্ত্যোদয় আমাদের দর্শণ, সুশাসন আমাদের মন্ত্র| উনিশের লোকসভা ভোটের ‘সঙ্কল পত্র’ প্রকাশের পর সোমবার এমনই মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী| বিজেপি এবার তাঁদের নির্বাচনী ইস্তাহারের নাম দিয়েছে ‘সঙ্কল পত্র’| শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি নয়, তা রূপায়ণ করে দেখানোর সঙ্কল্পটাও করেছে বিজেপি| কিন্তু, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র নির্বাচনী ইস্তাহারকে খোঁচা দিতে পিছপা হলেন না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী| রাহুলের মতে, একজনের ইচ্ছেয় তৈরি হয়েছে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার| নিজেদের ইস্তাহারের সঙ্গে বিজেপির ‘সঙ্কল্প পত্র’-র তুলনা করে, মঙ্গলবার সকালে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার মারফত রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরি হয়েছে| এক মিলিয়নেরও বেশি ভারতীয় নাগরিকের কণ্ঠস্বর বিজ্ঞতাপূর্ণ এবং শক্তিশালী|’ এরপরই বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারকে খোঁচা দিয়ে রাহুল লিখেছেন, ‘বন্ধ কক্ষে তৈরি করা হয়েছিল বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার| একজন ভিন্ন ব্যক্তির কণ্ঠস্বর, এটি স্বল্প দৃষ্টিভঙ্গির এবং অহংকারী|’

উনিশের ভোটের নির্বাচনী ইস্তাহারে কর্মসংস্থানের উপর সর্বাধিক জোর দেওয়া হয়েছে, এমনই মত কংগ্রেস নেতৃত্বের| কিন্তু, কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারকে ‘অন্তঃসারশুন্য’ ইস্তাহার বলে খোঁচা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী| এবার বিজেপির ইস্তাহারকেই খোঁচা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী| প্রসঙ্গত, বিজেপির সঙ্কল পত্রে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ক্ষমতায় এলে শুধু দুই হেক্টর জমি থাকা ছোট ও মাঝারি কৃষকই নয়, বরং সমস্ত কৃষককেই বছরে ছ’হাজার টাকা দেওয়া হবে| ছোট ও মাঝারি কৃষক এবং ছোট দোকানদারকে পেনশন দেওয়া হবে, তিন বছরের মধ্যে সকলকে পাকা বাড়ি দেওয়া হবে, কৃষকের আয় দ্বিগুণ করা হবে| এর পাশাপাশি অসমের পর অন্য রাজ্যেও এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি চালু হবে| অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কাশ্মীরের জন্য বিশেষ অধিকার দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং নাগরিকত্ব বিল চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি| 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *