নয়াদিল্লি, ৩১ মার্চ (হি.স.) : নাম না করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজা এবং মহারাজাদের দরকার নেই। দেশের প্রয়োজন চৌকিদারের, যিনি সদর্থক ভাবে সেবা করতে পারবেন। রবিবার ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ কর্মসূচীতে এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে আমার প্রতি আস্থা দেখিয়েছিল দেশবাসী। সে জন্যই দেশকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছে। এই দায়িত্ব পেয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের কাছ থেকে দেশের সম্পদকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।চৌকিদার শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চৌকিদার কথাটার মধ্যে নীতিবোধের সত্ত্বা রয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর আস্থাশীল ধারণা মধ্যেই চৌকিদার শব্দের প্রকৃত মানে রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ১৩০ কোটি দেশবাসী অধিকার এবং কর্তব্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রতিজ্ঞা করবে। যদি মোদী নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করত তবে দেশের জন্য এই মোদীর দরকার পড়ত না।
বালাকোটের এয়ারস্ট্রাইক সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশের জওয়ানদের প্রতি আস্থাশীল আমি। তাই জওয়ানদের সন্ত্রাস দমনে সমস্ত রকমের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান ভেবেছিল মোদী নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। কিন্তু আমার কাছে নির্বাচন থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল দেশ। এয়ারস্ট্রাইকের পুরো কৃতিত্ব বায়ুসেনার, আমার নয়।দুর্নীতি দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশের সম্পদ লুঠ করেছে, তাদের থেকে প্রতিটি টাকা ফেরত নেওয়া হবে। জনগণের সহযোগিতায় বহু জালিয়াতদের জেলে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।’
ম্যায় ভি চৌকিদার কর্মসূচী এদিন দিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজির ছিল প্রায় ৫০০০ মানুষ। একই সঙ্গে এদিন ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে দেশের ৫০০টি জায়গায় সরাসরি আলাপচারিতা চালান প্রধানমন্ত্রী।