চন্ডীগড়, ২৫ মার্চ (হি.স.): সোমবার প্রথম ইউনিটের চারটি চিনুক হেলিকপ্টারের সূচনা হতে চলেছে চন্ডীগড়ের এয়ার ফোর্স স্টেশন ১২ উইংয়ে। এই নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার মুকুটে যোগ হল আরও একটি নতুন পালক। এদিন চিনুকের সূচনা অনুষ্ঠানে বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়া বলেছেন, “প্রতিরক্ষার দিক দিয়ে দেশকে একাধিক প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে হয়। বৈচিত্র্যময় ভূখণ্ডে লম্বালম্বিভাবে উত্তোলন করার ক্ষমতাসম্পন্ন কপ্টার আমাদের প্রয়োজন। নির্দিষ্ট উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং আধুনিকীকরণের পর চিনুককে ভারতে আনা হয়েছে। এটি জাতীয় সম্পত্তি।”

উল্লেখ্য, ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান কিংবা ইরাক- এই সব যুদ্ধেই চিনুকের দেখা মিলেছে। ১৯৬২-তে প্রথম ওড়ে চিনুক। আধুনিকীকরণের পর বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে আধুনিক হেলিকপ্টার এটি। এক মাস আগেই আমেরিকার বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে চিনুক হাতে পায় ভারত। প্রায় ১০ হাজার কেজি সরঞ্জাম নিয়ে ঘণ্টায় ১৭৫ মাইল গতিতে আকাশে উড়তে পারে চিনুক। কামান-গোলাবারুদ-সহ বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, গাড়ি, রসদ-সহ বিভিন্ন জিনিস এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বয়ে নিয়ে যেতে এই হেলিকপ্টারের জুড়ি মেলা ভার। সীমান্ত পাহারায় বিশেষ কার্যকরী হবে ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যাধুনিক এই হেলিকপ্টার। বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়ার কথায়, “চিনুক হেলিকপ্টার সেনা অভিযান চালনা করতে সক্ষম। শুধু দিনেই নয়, রাতেও এই কপ্টার চালানো সম্ভব। চিনুকের আরেকটি ইউনিট পূর্ব ভারতের জন্য আসামের দিনজানে তৈরি হবে। চিনুকের সূচনা রাফাল যুদ্ধবিমানের পর প্ৰতিরক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে।” বায়ুসেনা প্রধান আরও বলেছেন, “রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতে আসলে আমাদের বায়ুসেনায় এতটাই নানাবিধ পরিবর্তন হবে যে, পাকিস্তান আর সীমান্ত বা নিয়ন্ত্রণরেখার ধারেকাছে আসতে পারবে না। আমরা যে ধরনের ক্ষমতার অধিকারী হয়েছি, সেই কারণেই বর্তমানে তাদের কাছে কোনও উত্তর নেই।”-