বিশেষ প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মার্চ৷৷ অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন টিসিএস অফিসারকে বাদ দিয়ে এই অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করীকে সদর মহকুমা শাসকের আসনে বসানোর ফলে সাধারণ মানুষ সাধারণ পরিষেবা ও ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ ইদানিং এমন একটি জ্বলন্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে৷

ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, এ ডি নগর থানাতে জনৈক ব্যক্তি প্রদীপ দাসের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড ১১০ মোতাবেক একটি মামলা রুজু করে৷ মামলার নম্বরPR No. 130/2019৷ সংশ্লিষ্ঠ থানা এরপর এই মামলাটি অক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তথা সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহার কোর্টে স্থানান্তরিত করে শুনানির জন্য৷ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডের উপধারা এ,বি,সি,ডি এবং ই অনুসারে মহকুমা শাসক শুনানী শেষে শাস্তির বিধান সহ মামলার নিষ্পত্তি করবেন তাই আইন৷
অবাক করার বিষয়, সদর মহকুমা শাসকের অফিসে এই মামলাটি আসার পর আবার নথিভূক্ত হয়৷ যার নম্বর ১১৯/২০১৯৷ নথিভুক্ত হওয়ার পর সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহা এই মামলার শুনানী না করে মামলার ফাইলটি গত সাত মার্চ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকের নিকট একটি চিঠিমূলে পাঠিয়ে দেন৷ চিঠির ফাইল নম্বরNo. F.8(2)-SDM/SDR/JDL/2019/378৷ চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ করেন, তিনি যেন এই মামলাটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন৷ উল্লেখ্য, ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড ১১০ মোতাবেক জেলাশাসকের এই মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বা দেওয়ার কোন অধিকার নেই৷
প্রশ্ণ হল অসীম সাহা কি এই মামলার ফাইলটি জেলা শাসকের নিকট বিচারের জন্য পাঠাতে পারেন৷ তথ্যভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য, অবশ্যই পারেন না৷ তাহলে এমনটা হওয়ার কারণ কি? নিন্দুকেরা বলেন অসীম সাহা অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী৷ আইপিসি, সিআরপিসি সম্পর্কে তাঁর সাধারণ জ্ঞানটুকু নেই৷ তাই সাধারণ মানুষের এই ভোগান্তি এবং প্রশাসনের বদনাম৷
সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, অসীম সাহা তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে জেলা শাসককে এই ফাইলটি পাঠিয়েছেন৷ সুতরাং ইনসাবোর্ডিনেশনের দায়ে অসীম সাহার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টার প্রসিডিং করা জরুরী৷ এই হল স্বচ্ছ ভারতের স্বচ্ছ প্রশাসনের কান্ডারী অসীম সাহা৷