রাস্তা ও পঞ্চায়েত অফিস নির্মানের দাবিতে আচমকা অবরোধে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ মার্চ৷৷ ধলাই জেলার কমলপুর মহকুমার মানিক ভান্ডারে রাস্তা নির্মাণের দাবিতে পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় জনগণ৷ আচমকা পথ অবরোধের ফলে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ পথ চলতি সাধারণ মানুষ জনকে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ স্থানীয় বিধায়ক এর বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে তারা শামিল হয় বলে জানা যায়৷ বিধায়ক আশিস দাস স্থানীয় জনগণের এ ধরনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন৷ ওই এলাকায় রাস্তা নির্মাণ এবং পঞ্চায়েত অফিস নির্মানের জন্য প্রশাসনিক প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক৷ স্থানীয় কিছু লোকজন কায়েমী স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যেই এ ধরনের পথ অবরোধ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বলে জানান তিনি৷

নিজেদের মর্জিমতো চালানো যাচ্ছে না বিধায়ককে৷ ফলে ক্ষুব্ধ স্বদলীয় একাংশ নেতৃত্ব দিব্যি মানুষকে নাকাল করলেন পথ অবরোধের নামে৷ বোর্ডের পরীক্ষার্থী, অফিস যাত্রী, অসুস্থ রোগী সকলকেই পাক্কা এক ঘন্টা নাজেহাল করে অবরোধকারীরা জানান দিলেন সড়ক চাই, আগের জায়গায় পঞ্চায়েতের বাড়ি চাই৷ কারণ এলাকার বিধায়ক নাকি কাজ করছেন না৷ ঘটনা শুক্রবার কমলপুরের মাণিকভান্ডারে৷ এদিন ৪৬ সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের মুসলিম অধ্যুষিত মেথিরমিঁয়া গ্রামের একাংশ গ্রামবাসী আচমকাই কমলপুর-আমবাসা সড়ক অবরোধ করেন মাণিকভান্ডারে৷ একই সঙ্গে আটকে দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক৷

অবরোধকারীদের পক্ষে তাজউদ্দীন খান জানান, আমাদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বহু সমস্যা রয়ে গেছে৷ এলাকায় তিনটি সড়ক একেবারে বেহাল৷ এর মধ্যে দুটি পিচ ঢালাই করতে হবে এবং একটি ইট সয়েলিং করতে হবে৷ তা করতে হবে বর্ষার আগেই৷ তাছাড়া বর্ষা মরশুম শুরু হওয়ার আগে নদী ভাঙন রোধে বোল্ডার ফেলার কাজ করতে হবে৷ ২০১৫ সালের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থির করা জায়গায় নতুন পঞ্চায়েত ভবন তৈরি করতে হবে৷ আমরা বারবার স্থানীয় বিধায়ক আশিস দাসের দ্বারস্থ হয়েছি৷ কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর আমাদের সঙ্গে রীতিমতো দুর্ব্যবহার করেছেন, অভিযোগ আন্দোলনকারীদের৷ অথচ, গতবছর বন্যার সময় ও পরে ওই এলাকার মানুষজনের জন্য নিজে মাথায় বালি নিয়ে গেছেন বিধায়ক৷ তারপরেও বারবার প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এই এলাকার এবং সামগ্রিকভাবে সুরমার উন্নয়নে সরব হয়েছেন ও কাজ করছেন আশিসবাবু, স্থানীয় একাংশের এমনটাই অভিমত৷ তাঁদের মতে, নিজের ছোট্ট বাঁশের বেড়ার ঘরে বসার জায়গার অভাব থাকলেও বিধায়কের বিরুদ্ধে কারো সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ নেই৷ ফলে, অভিযোগের সারবত্তা এবং অবরোধের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে৷

জানা গেছে, পঞ্চায়েতের নতুন ঘর নতুন জায়গায় নতুন কলেবরে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন৷ এই কাজে প্রশাসনের পাশে রয়েছেন আশিসবাবু৷ আর তাতে ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত পরা কয়েকজন বিজেপি নাম ভাঙ্গিয়ে বিধায়কের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন৷ গোটা বিষয়ে বিধায়ক আশিস দাস জানিয়েছেন, আমি মানুষের কাছে দায়বদ্ধ৷ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়, বৃহত্তর সুরমাবাসীর স্বার্থে আমার কাজ অব্যাহত থাকবে৷ আগামীদিনে এই ঘটনা কোনদিকে মোড় নেয় সেটা এখন দেখার বিষয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *