
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ মার্চ৷৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে আজ সচিবালয়ে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে মিলিত হন ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কেঞ্জি হিরামাৎসুু৷ মুখ্যমন্ত্রী জাপানের রাষ্ট্রদূত কেঞ্জি হিরামাৎসুুকে সাদর অভ্যর্থনা জানান৷ সাক্ষাৎকারকালে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরার যোগাযোগ, পর্যটন, শিল্প সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার ক্যুইন ভ্যারাইটির আনারস অত্যন্ত সুুস্বাদু এবং বিখ্যাত৷ এই আনারস দুবাই-এ রপ্তানি করা হয়েছে৷ এছাড়াও তিনি ত্রিপুরার রাবার, বাঁশ, গোলমরিচ, আদা ইত্যাদি প্রাক’তিক সম্পদের পর্যাপ্ততা সম্পর্কে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে অবগত করেন৷ তিনি বলেন, এই প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এখানে শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব৷ জাপানের রাষ্ট্রদূত ত্রিপুরায় প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতা সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেন৷ তিনি জাপানের কোম্পানীগুলিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিল্প সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত করাবেন বলে জানান৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ত্রিপুরায় পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে৷ এখানকার বৌদ্ধ ধর্মীয় পর্যটন স্থল পিলাক ও বক্সনগর সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবগত করান৷ এছাড়া নীরমহল, নারিকেলকুঞ্জ ইত্যাদি পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবগত করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাথে জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ সাবমের ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ করে সড়কপথে বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টিও তিনি উত্থাপন করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এমনভাবে উন্নত করা হচ্ছে যাতে আগামীদিনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে ত্রিপুরা৷ জাপানের রাষ্ট্রদূত ত্রিপুরায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, বন ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত বিষয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সহায়তা করতে ইচ্ছক বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান৷ রাষ্ট্রদূত জানান ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে তারা যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাপান সফরকালে তারা একটি প্রকল্প রূপায়নের অঙ্গীকার করেছে৷ এই প্রকল্পটি হল সাস্টেনেবল ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট ইন ত্রিপুরা৷ মূলত শেষ হয়ে যাওয়ার আগের প্রকল্পটির রেশ ধরেই এই প্রকল্প৷ তবে তারা এখন শুধু বাঁশজাত হস্তশিল্পই নয় বাঁশ ও বেত ভিত্তিক আরও শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান৷ ত্রিপুরা পর্যটনস্থলগুলির আকর্ষণ সম্পর্কে জাপানী পর্যটকদের অবগত করাবেন বলে রাষ্ট্রদূত মুখ্যমন্ত্রীকে জানান৷