চাকরি স্থায়ীকরণ, বৈঠক করলেন ১০৩২৩ এড্হক শিক্ষকের একাংশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ মার্চ৷৷ চাকরি নিয়মিতকরণের ব্যাপারে আলোচনা করতে আগরতলায় বৈঠক করলেন ১০৩২৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার একাংশ৷ রাজধানীর মাতঙ্গিনী-প্রীতিলতা সভাগৃহে আয়োজিত আজ সোমবারের সভায় রাজধানীর পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা থেকে শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছিলেন৷


বামফ্রন্ট সরকারের সময় অবৈধভাবে ত্রিপুরা রাজ্যে ১০৩২৩ জন শিক্ষককে চাকরি দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগে ত্রিপুরা হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েকজন বঞ্চিত বেকার যুবক৷ এই মামলার প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ১০৩২৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বেআইনি বলে ঘোষনা করার পাশাপাশি তাঁদের চাকরী বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ করার নির্দেশ দেয়৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে ত্রিপুরার তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার সুপ্রিমকোর্ট আবেদন করেছিন৷ সুপ্রিমকোর্ট ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে৷


একসঙ্গে এত সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি চলে গেলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে৷ তাই রাজ্য সরকার আবার সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করে৷ এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ১০৩২৩ জন শিক্ষককে ্যডহক ভিত্তিতে শিক্ষক হিসেবে রাখা হয়৷ সেই নির্দেশ অনুসারে তারা এখন চাকরি করছেন৷


সম্প্রতি ত্রিপুরার একজন আইনজীবী ১০৩২৩ জন শিক্ষকের হয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি মামলা করেছেন৷ এই মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি সেই সকল শিক্ষকদের চাকরি বহাল থাকবে৷ এই দাবির ভিত্তিতে চাকরিচ্যুত একাংশ শিক্ষক আজ বৈঠক করেছেন৷ আগামী দিনে কী করলে তাদের চাকরি স্থায়ী হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাঁরা আইনজীবির পরামর্শ নেবেন বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করতে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *