ইসলামাবাদ, ২ মার্চ (হি.স.): \”শান্তির বার্তা\” হিসেবে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার পর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে পাক সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাকিস্তানজুড়ে টুইটার ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে নোবেল প্রাইজ ফর ইমরান খান হ্যাশট্যাগ। জানা গিয়েছে, রামিজ আসিফ নামে এক ব্যক্তি প্রথম এই ক্যাম্পেনিং শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ২৮,০০০ সইও নাকি সংগ্রহ করা হয়েছে। ভারতীয় উইং কমান্ড্যার অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দিতেই এবার ইমরানকে শান্তির পূজারি বলে ঘোষণা করতে এগিয়ে এলেন পাক বাসিন্দারা। তবে, খুব কম সংখ্যায় হলেও অনেকেই ইমরানকে ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ দেওয়ার দাবির বিষয়টিকে হাসির খোরাক হিসেবে দেখছেন।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের আগের সমস্ত প্রধানমন্ত্রীদের মতো ইমরান খানও পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিয়ে চলেছেন, এ অভিযোগ বারবার উঠছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে সিআরপিএফ কনভয়ের উপর আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা। এরপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে অবস্থিত জইশ ট্রেনিং ক্যাম্পে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানের সাহায্যে গুড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি। ঠিক তার পরেরদিনই অথাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের আকাশসীমা পেরিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এফ-১৬।
তাদের তাড়া করতে গিয়ে মিগ-২১ বিমান নিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়েন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পাক সেনার হাতে গ্রেফতার হন ভারতেই ওই বীর যোদ্ধা। এরপরই জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী তাঁকে নিঃশর্তে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এরপর শুক্রবার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার পর গোটা পাকিস্তানজুড়ে টুইটার ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে \”নোবেল প্রাইজ ফর ইমরান খান\” হ্যাশট্যাগ। কেউ লিখেছেন, \”এতদিন বাদে একজন সত্যিকারের নেতাকে পেয়েছেন পাকিস্তান।\” এক নাগরিকের ট্যুইট, \”আমি অনেক ভাগ্যবান যে আমি একজন পাকিস্তানি এবং ইমরান খান আমার প্রধানমন্ত্রী।\” খুব কম হলেও কেউ এই দাবির সমালোচনা করে লিখেছেন, \”বিশ্ব রাজনীতি বা জেনেভা চুক্তি সম্পর্কে অজ্ঞরাই এই ধরনের দাবি জানাতে পারে। আর এইসব দেখে হাসির খোরাক পাচ্ছেন বহু মানুষ।\”