শিলচর (অসম), ৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : কালাইনবাজারের ব্যস্ততম কালাইন-ডিগাবর পূর্ত সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য জনগণের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে সড়কটি। অথচ মাসখানেক আগে রাস্তা সংস্কারের একটি ফলক লাগানো হলেও অজ্ঞাত কারণে কাজের কোনও অগ্রগতি নেই। ফলে বৃহত্তর এলাকার দৈনন্দিন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এই রাস্তার পাশেই রয়েছে কালাইন পুলিশ পেট্রোল পোস্ট, কালাইন অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্র, কাটিগড়া থানা ভিত্তিক মহিলা সমিতির কার্যালয়, কালাইন আদর্শ বিদ্যাপীঠ, জুপিটার হাইস্কুল, মাদ্রাসা-সহ একাধিক বেসরকারি স্কুল। এছাড়া রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নিউ মার্কেট। কালাইন গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি গ্রাম, ভৈরবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দশটি গ্রাম-সহ লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দশটি রাজস্ব গ্রামের জনগণের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই রাস্তা। এছাড়া ডিগাবর চা বাগানের লোকজনদের যাতায়াতের জন্যও এই রাস্তার বিকল্প নেই। হাঁটবাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, অফিস-আদালতে প্রতিদিন কম করেও ত্রিশ হাজার মানুষ যাতায়াত করছেন এই রাস্তায়। কিন্তু রাস্তার বর্তমান শোচনীয় অবস্তার দরুন ছাত্রছাত্রী তথা পথচারী লোকজনদের চরম দুর্দশা ভোগ করতে হচ্ছে। রাস্তার সংস্কারে ন্যূনতম তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
কাটিগড়া থানাভিত্তিক মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান তথা কালাইন আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভানেত্রী জমিলা বেগম উদ্বেগ ব্যক্ত করে জানান, বৃহত্তর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির সংস্কারে রহস্যজনক কারণে জনপ্রতিনিধিরা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার লোকজনদের পাশাপাশি স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের অত্যন্ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই রাস্তায়। বর্তমান শুকনোর মরশুমে রাস্তায় হাঁটুজল রয়েছে। তাই দুদিন পর বর্ষার সময় রাস্তার কী করুণ দশা হতে পারে তা ভেবে শিহরিত হচ্ছেন নাগরিকরা।
মঙ্গলবার কাটিগড়া পরিদর্শনে এসেছিলেন নবাগত জেলাশাসক লয়া মাদ্দুরি। তাঁর কাছে বেহাল রাস্তার চিত্র তুলে ধরেছিলেন জমিলা বেগম। তিনি জেলাশাসককে জানান, বিগত সময়ে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে সার্কল অফিসার মারফত একাধিকবার স্মারকপত্র প্রদান করেছেন ছাত্রছাত্রী-সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তারা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অজ্ঞাত কারণে পূর্ত বিভাগ নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে জেলাশাসকের কাছে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন মহিলা নেত্রী জমিলা বেগম।
তিনি বলেন, মাসখানেক আগে রাস্তা সংস্কারের নামে একটি ফলক লাগানো হয়েছে মাত্র। ফলকে উল্লেখ রয়েছে পূর্ত বিভাগের রুরাল রোড ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে নির্ধারিত ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ কাজের খতিয়ান। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এসওপিডি-জি স্কিম। উন্মোচক হিসেবে কাটিগড়ার বিধায়ক ও তদানীন্তন জেলাশাসক ড. এস লক্ষণনের নাম লেখা ফলকে উন্মোচনের তারিখ লেখা হয়নি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বিহিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জেলাশাসকের কাছে জানান জমিলা বেগম।