নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জানুয়ারি৷৷ রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের উদ্যোেগে আজ সারা দেশের সাথে রাজ্যেও জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করা হয়৷ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং হলে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক জাতীয় ভোটারস ডে উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল প্রফেসর কাপ্তান সিং সোলাঙ্কি৷ রাজ্যপাল শ্রী সোলাঙ্কি ১১ জন নতন ভোটারের হাতে সচিত্র পরিচয়পত্র তুলে দেন৷ এছাড়া ইলেকশান অ্যায়ারনেস ক্যােলেন্ডার ২০১৯-এর উদ্বোধন করেন৷ তিনি বলেন, এই দিনটি সকলের কাছে এক পবিত্র দিন৷ এই পবিত্র দিনে সকলের সংকল্প হবে সত্যনিষ্ঠা ও কর্তব্যের সাথে নিজের ভোট নিজে সক্রিয় ও সচেতনভাবে প্রদান করা৷ প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিটি নাগরিকের প্রতি ভোট আন্তরিকতা ও সক্রিয়তার সাথে নিষ্ঠা সহকারে ভোটদান করবেন৷

এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে ত্রিপুরার ভোটারগণ ভোটদানের বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন৷ আগামী নির্বাচনেও রাজ্যের ভোটাররা তাদের ঐতিহ্য বজায় রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ কন্েরন৷ রাজ্যপাল শ্রী সোলাঙ্কি আরও বলেন, ভোটদানের সাথে রাজনীতির সম্পর্ক রয়েছে৷ কিন্তু অনেকে রাজনীতি বলে একে এড়িয়ে যেতে পারেন না৷ কারণ যুগ যুগ ধরে রাজনীতি চলে আসছে৷ রাজনীতি ছাড়া কোনও ঐক্যবদ্ধ দেশ গড়ে উটে না৷ এ বিষয়ে তিনি মহাভারতের যুগ এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীমদ ভাগবদ-এর শ্লোক উল্লেখ করে বলেন, এই গ্রন্থে পুরোটাই মানুষের জীবন পদ্ধতি ও রাজনীতির ব্যাখ্যা রয়েছে৷ একে অনুসরণ করেই ভারতীয় রাজনীতি সমাজ সংসৃকতির ভিত্তি গঠিত হয়েছে৷ তাই রাজনীতিতে আদর্শ ও বিচক্ষণ ব্যক্তিদের আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন৷ তিনি বলেন, একটি কর্তব্যপরায়ণ ও সেবাপরায়ণ সরকার গঠনের দায়ভার জনগণের৷ জনগণ তার ভোটদানের মাধ্যমে সে কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারে৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন সিইও শ্রীরাম তরণীকান্ত৷ জাতীয় ভোটারস ডে-এর শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় স্তরের প্যারা সুইমার পূর্ত দপ্তরের স্টেট আইকন সমীর বর্মন৷ শ্রী সোলাঙ্কি স্টেট আইকন সমীর বর্মন-এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন৷ এছাড়াও রাজ্যভিত্তিক নবম জাতীয় ভোটারস ডে উপলক্ষ্যে আয়োজিত ক্যুইজের প্রথম স্থানাধিকারী আগরতলা কুঞ্জবন আইএএসই, চতুর্থ স্থানাধিকারী বিলোনীয়া কলেজ, পঞ্চম স্থানাধিকারী কমলপুর কলেজ এবং ষষ্ঠ স্থানাধিকারী এমবিবি কলেজ -এর দলনেতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷ অনুষ্ঠানে গত বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার কৃতিত্বের জন্য রাজ্যের ২৪ জন আধিকারিকদের স্টেট লেভেল অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে৷ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা শাসক তপন কুমার দাস৷