BRAKING NEWS

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খুন করা হয়েছে অ্যাপল কর্মী বিবেক তিওয়ারিকে, তদন্ত রিপোর্টে দাবি সিট-এর

লখনউ, ২০ ডিসেম্বর (হি.স.): উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে অতি-সক্রিয়তার অভিযোগ বেশ কিছু দিন ধরেই আসছিল| চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে লখনউয়ের গোমতিনগরের কাছে অ্যাপল এগজিকিউটিভকে গুলি করে মারার ঘটনায় বিতর্ক আরও ছাপিয়ে গিয়েছিল| এযাবত্ অ্যাপল কর্মী বিবেক তিওয়ারি-র মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছিল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)| অবশেষে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল সিট| সিট-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাপেল এগজিকিউটিভ বিবেক তিওয়ারিকে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে গুলি করে খুন করেছিল পুলিশ কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরী| একইসঙ্গে ওই ঘটনার সময় বিবেক তিওয়ারির প্রাক্তন-সহকর্মীকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে কনস্টেবল সন্দীপ রাণাকে| বিতর্কে থাকা উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে সিট-এর এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহে বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে|

অ্যাপেল এগজিকিউটিভ বিবেক তিওয়ারি হত্যার ঘটনায় বুধবারই ১৬ পাতার তদন্ত রিপোর্ট রাজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি) ও পি সিংয়ের কাছে জমা দিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)| সিট-এর তদন্তকারী অফিসার ইতিমধ্যেই চার্জশিট গঠন করেছেন| যা শুক্রবার আদালতে দেওয়া হবে| এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে ৬৮ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে সিট| সিট-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিবেক তিওয়ারিকে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে গুলি করে খুন করেছিল পুলিশ কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরী| একইসঙ্গে ওই ঘটনার সময় বিবেক তিওয়ারির প্রাক্তন-সহকর্মীকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে কনস্টেবল সন্দীপ রাণাকে| সিট-এর তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিবেক তিওয়ারির স্ত্রী কল্পনা তিওয়ারি জানিয়েছেন, ‘আমার মতে প্রশান্ত-এর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা সঠিক| কিন্ত সন্দীপের ক্ষেত্রে, তদন্তের গতিবিধি নিয়ে আমি বিভ্রান্ত| আমাদের আইনজীবী এই বিষয়টি স্টাডি করছেন|’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে, ২৮-২৯ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে অ্যাপল মোবাইল স্টোরের সেলস ম্যানেজার বিবেক তিওয়ারি নতুন মোবাইল ফোনের লঞ্চিম পার্টি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন| গাড়িতে সঙ্গে তাঁর এক মহিলা প্রাক্তন-সহকর্মীও ছিলেন| গোমতিনগরের কাছে তাঁকে গাড়ি থামাতে বলেন বাইকে থাকা দুই পুলিশ কর্মী| বিবেক গাড়ি থামাননি বলে অভিযোগ| এরপরই গুলি চালান পুলিশ কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরী| বিবেকের সঙ্গে সেই সময় থাকা তাঁর প্রাক্তন-সহকর্মী সানা খান জানান, পুলিশ ঝামেলা করতে পারে, বুঝেই গাড়ি থামাননি বিবেক| তখন পুলিশ কর্মীরা বাইক দিয়ে তাঁদের গাড়ির রাস্তা আটকে সামনে থেকে গুলি চালায়| গুলি এসে লাগে বিবেকের কানের পাশে| তারপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি প্রথমে পুলিশের বাইকে ধাক্কা মারে| তারপর রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে| হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বিবেককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *