নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ ডিসেম্বর৷৷ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত দুদিন ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে চলছে জোর টহলদারি।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, রাজ্যের কিছু এলাকা দিয়ে প্রবেশ করছে সে দেশের সন্ত্রাসীরা। এই তথ্য পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শনিবার সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা।
সীমান্তের উভয় দিকের সুরক্ষা কর্মীরা ধারণা করছেন, বাংলাদেশ থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে ত্রিপুরায় সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, যেমন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৎপরতা রয়েছে তেমনি বসে নেই সে দেশের প্রশাসনও। জানা গেছে, নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের সমস্ত সন্ত্রাসীদের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। ধরপাকড়ের ঠেলায় এখন বাংলাদেশি সন্ত্রাসীরা সীমান্ত ডিঙিয়ে ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় গোপন আস্তানা গাড়ছে কিংবা চেষ্টা করছে বলে বাংলাদেশ সরকারের বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, জানা গেছে, সীমান্ত ঘেরা ত্রিপুরার সোনামুড়া, গন্ডাছড়া মহকুমায় এখনও অপরিচিতদের ছড়াছড়ি। গন্ডাছড়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রয়েছে ৬৫ কিলোমিটার জুড়ে। এর মধ্যে ৪০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ২৫ কিলোমিটার এলাকা উন্মুক্ত। ওই সব এলাকা দিয়েই সন্ত্রাসীরা রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিএসএফকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে সীমান্ত এলাকার থানাগুলোকেও সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।