নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর৷৷ ৩৭তম আগরতলা বইমেলা-২০১৯ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ থেকে শুরু হবে ১২ দিন ব্যাপী এই বইমেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ বইমেলার আয়োজন হ বে আগরতলা শিশু উদ্যানে৷ আজ বিকেলে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৩৭তম আগরতলা বইমেলার প্রতম প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ সভায় ৩৭তম আগরতলা বই মেলা থেকে অটল বিহারী বাজপেয়ী লাইফ টাইম এচিভমেন্ট পুরস্কারও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ শিল্প-সাহিত্য বা সংসৃকতির কোন ক্ষেত্রে এই পুরস্কার দেওয়া হ বে তা পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে৷ তাছাড়া, ৩৭তম আগরতলা ব ইমেলার থীমও পরবর্তী বৈ ঠকে স্থির করা হবে৷ সভ ায় শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, বিধায়ক আশিস কুমার সাহা, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভি এল ধারুরকর, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড অরুণোদয় সাহা, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সবাপতি সুবল দে, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের সচিব এম এল দে, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের অধিকর্তা আশুদেব দাস, আমন্ত্রিত বিশিষ্টজন ছাড়াও তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের অন্যােন্য আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন৷
সভায় সবাপতিত্ব করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ব লেন, ব ইমেলা শুরু হওয়ার আগে থেকেই এমন একটা আবহ তৈরি করতে হ বে যাতে সবাই জাতে পারে আগরতলা বইমেলা শুরু হচেছ৷ বইমেলা যাতে সব অংরে মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারে সেভাবে উদ্যোগ নিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু ভাবগম্ভীর বই পাঠ্যের জন্যই বই মেলা নয়৷ বইমেলরার বিভিন্ন দিনে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে৷ এতে ব ইমেলার আকর্ষণ বাড়বে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছেও ব ইমেলা নিয়ে উযসাহ জাগাতে হবে৷ তবেই ব ইমেলায় সার্থকতা আসবে৷ এজন্য ব ইমেলাকে রাজ্যব্যপী প্রচারে নিয়ে যেতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বইমেলার থীম এমন হতে হবে যাতে করে ত্রিপুরার পর্যটন, ত্রিপুরার শিল্প সংসৃকতির অতীত -বর্তমান ও ভবিষ্যতের একটা প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে৷
সভার শুরুতে তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের সচবি এম এল দে ৩৬তম আগরতলা বইমেলরা নিয়ে পর্যালোচনা করেন৷ তাছাড়াও ৩৭তম আগরতলা বইমেলা- ২০১৯-এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন৷ সবায় অন্যান্যদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, বিধায়ক আশিস কুমার সাহা, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যােলয়ের উপাচার্য ভি এল ধারুরকর, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড অরুণোদয় সাহা, রাজ্য সাংসৃকতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ দেব, অধ্যাপক মানিক দেব, ডা অশোক সিন্হা, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুবল কুমার দে, সম্পাদক প্রণব সরকার, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের অধিকর্তা আশুদেব দাস প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন৷
2018-12-05