নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ নভেম্বর৷৷ রাজ্যে সন্ত্রাস নিয়ে মায়া কান্না করছে সিপিএম৷ খুন করা যাদের ধর্ম, সেই সিপিএমের নেতাদের মুখে এই বিষয়ে কথা বলা মানায়না৷ সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলে সিপিএম নির্লজ্জতার প্রমাণ দিয়েছে৷ সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে এই ভাবেই সন্ত্রাস ইস্যুতে সিপিএমকে তুলোধুনো করেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির মুখপাত্র ডাঃ অশোক সিন্হা এবং নবেন্দু ভট্টাচার্য৷ তাঁদের মতে, সিপিএম সবচেয়ে হিংস্র রাজনৈতিক দল৷ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না৷
এদিন বিজেপি রাজ্যকমিটির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য সন্ত্রাস ইস্যুতে সিপিএমকে একহাত নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে দুদফায় সাংবাদিক সম্মেলনে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিরোধী সিপিএম৷ তাঁর কটাক্ষ, প্রকৃতপক্ষে গদিচ্যুত হওয়ার পর সিপিএমের কাছে কোন ইস্যু নেই৷ তাই সন্ত্রাস নিয়ে তারা জমি খঁুজে পাওয়ার চেষ্টা করছে৷ তার দাবি, ১৯৫৮ সালের পর থেকে এই প্রথম কোনও নির্বাচনের পর রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটেনি৷ কারণ, বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না৷ বিদ্রুপের সুরে তিনি বলেন, বিরোধী থেকে শাসক দলে পরিণত হওয়া সত্বেও এখনও বিজেপি কর্মীরাই হুমকির সম্মুখিন হচ্ছেন৷
এদিন বিজেপি রাজ্য কমিটির মুখ্য মুখপাত্র ডাঃ অশোক সিন্হা এক তালিকা প্রকাশ করে সজানিয়েছেন, বাম জমানায় শুধু একটি মাত্র বিধানসভা এলাকায় ৬৯ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে৷ তার বক্তব্য, শান্তিরবাজার বিধানসভা এলাকায় সিপিএমের আমলে বিভিন্ন সময়ে বিরোধী নেতা-কর্মীদের খুন করা হয়েছে৷ তাঁর দাবি, খুন করাই সিপিএমের ধর্ম৷ এতদিন যারা বিরোধী ছিলেন দশকের পর দশক তারা এ রাজ্যে সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে৷ তাই, এখন সিপিএম সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলে নির্লজ্জতার পরিচয় দিচ্ছে৷ তাঁর কথায়, সারা দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলির মধ্যে সিপিএম সবচেয়ে হিংস্র দল৷ তারা কখনই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না৷ রাজ্যে প্রত্যেক অঞ্চলে সন্ত্রাস নিয়ে তথ্য খঁুজে বের করা হলে এখন সিপিএম যে অভিযোগ তুলছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণিত হবে না৷