তিরুবনন্তপুরম, ১৭ নভেম্বর (হি.স.) : শবরীমালা ইস্যুতে যখন উত্তাল কেরল সহ গোটা দক্ষিণ ভারত, তখনই সেই আগুনে বিতর্কিত মন্তব্য করে
আগুনে ঘি ঢাললেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। টুইটারে তসলিমা লেখেন, মহিলা সমাজকর্মীরা কেন যে শবরীমালা প্রবেশের জন্য এমন উঠে পড়ে লেগেছেন, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। যার জেরে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2013/12/taslima-210x300.jpg)
অন্যদিকে শুক্রবারই শবরীমাবা ইস্যুতে কেরালার শবরীমালা কর্ম সমিতি নামক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের এক ৫০ বছর বয়সি নেত্রী কেপি শশীকলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারপর থেকেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সারা কেরালা জুড়ে৷ নেত্রীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে শনিবার কেরালা জুড়ে বনধ ডেকেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু ঐক্য বেদি। যার জেরে আস কেরালার বিভিন্ন অংশ বন্ধ সব দোকান-বাজার। সরকারি দফতরেও কর্মীর সংখ্যা খুবই কম। রাস্তায় রাস্তায় মাতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।
রজঃস্বলা হওয়ার বয়সে মন্দিরে ঢুকে আয়াপ্পার বিগ্রহের পুজো করতে পারবেন মহিলারা, গত ১৮ অক্টোবর এই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর শবরীমালা মন্দির তৃতীয় বার পুনরায় খোলার পর একদিন কেটে গেলেও এখনও অচলাবস্থা জারি। টানা দু’মাস ব্যাপী তীর্থযাত্রার জন্য গতকালই খুলে দেওয়া হয়েছে শবরীমালা মন্দির। কেরালার পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই তীর্থক্ষেত্রের তালা খুলতেই ফের শুরু হয়েছে ভক্তদের উগ্র বিক্ষোভ। আয়াপ্পা ভক্তদের সাফ কথা, কোনওভাবেই ১০-৫০ বছর বয়সি মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। এদিকে, বিক্ষোভ কড়া হাতে দমন করতে সচেষ্ট রাজ্য সরকারও।
আগামী দুমাসের মধ্যে শবরীমালায় পুজো দিতে চেয়ে কেরল পুলিশের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করিয়েছেন অন্তত ৫০০ জন মহিলা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সমাজকর্মী তৃপ্তি দেশাই। শুক্রবার তৃপ্তি এবং তাঁর ভূমাতা ব্রিগেডের ৬ সদস্যা কোচি পৌঁছাতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আয়াপ্পার ভক্তরা। সেখান থেকেই মূল অশান্তির সূত্রপাত হয়। এদিকে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় আয়াপ্পার মন্দির কমিটির তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে, রায় কার্যকর করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।