![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2018/10/Sabarimala-Temple-300x167.jpg)
শবরীমালা মন্দির নিয়ে চলা বির্তকের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পিন্নারাই বিজয়নকে দায়ী করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা জানিয়েছেন, মন্দিরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য দায়ী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ঔদ্ধত্যে ভরা আচরণের জন্যই সুবর্ণ সুযোগ হারালেন তিনি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি পি এস শ্রীধরণ পিল্লাই রাজ্য সরকারকে দায়ী করে বলেন, শবরীমালা মন্দিরকে রণক্ষেত্রে পরিণত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। মন্দিরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য দায়ী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ দুই ঘন্টা সময় বৃথা নষ্ট হল।
সর্বদলীয় বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলগুলির তরফ অতিউৎসাহী হয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়দানকে কার্যকর করার থেকে রাজ্য সরকারকে বিরত থাকার আবেদন জানানো হয়।
উল্লেখনীয়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট সব বয়সী মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরের প্রবেশের পক্ষে রায়দান দেয়। তা কর্যকর করতে গিয়ে কেরল সরকারকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। অন্যদিকে বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির তরফ থেকে জানানো হয় যে গায়ের জোর ধর্মীয় ভাবাবেগের উপর আঘাত হানতে চাইছে রাজ্য সরকার। ২০১৯ এর জানুয়ারিতে রায়দান নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট। পুনর্বিবেচনার আগের পর্যন্ত শবরীমালা নিয়ে আগে রায়দান বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী পিন্নারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে রায়কে কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর তারা। বিচারব্যবস্থা এবং ভক্তদের পক্ষে সরকার। সংবিধানই সর্বোচ্চ। মহিলাদের মন্দিরে ঢোকা আটকাতে পারে না সরকার। মহিলা ভক্তদের মন্দিরে ঢোকার যাবতীয় নিরাপত্তা দেবে রাজ্য সরকার। শবরীমালা মন্দির সমস্যার সমাধানের জন্য মন্দির প্রধান পুরোহিত এবং পান্ডালাম রাজবংশের উত্তরপুরুষদের সঙ্গেও আলোচনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী।