আইজল, ৬ নভেম্বর, (হি.স.) : হেভিয়েট নেতা দল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন, এর খেসারত দিতে হবে মিজোরাম কংগ্রেসকে। রাজ্যের প্রবীণ তথা
সাতবারের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ হিফেই তাঁর পুরনো দল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মিজোরামে আসন্ন বিধানসভা নিৰ্বাচনে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের কাছে হিফেই এখন শিরোপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে হিফেইয়ের হুঙ্কার, মিজোরামকে কংগ্রেসমুক্ত করাই প্রধান লক্ষ্য।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2018/11/Mizo-Assembly-Speaker-300x169.jpg)
কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গতকাল সোমবার বিজেপিতে যোগদান করেছেন হিফেই। একজন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগদানের ফলে দক্ষিণ মিজোরামে দলের ভিত রাতারাতি মজবুত হতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ, দক্ষিণ অসমে ব্যাপক গণভিত্তি রয়েছে হিফেইয়ের। তাঁর সঙ্গে বহু কংগ্রেস নেতা ও কর্মী বিজেপিতে যোগদান করবেন। আগামী ১০ নভেম্বর দক্ষিণ মিজোরামের পালাক বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর উপস্থিতিতে বহু কংগ্রেসি বিজেপিতে যোগ দেবেন।
এদিকে বিজেপিতে যোগদান করে পালাক কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী হিফেই মুখ্যমন্ত্ৰী লাল থানহাওলা এবং কংগ্ৰেসের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি কংগ্রেস সরকারের জনবিরোধী কাজকর্মের পরদা ফাঁস করেছেন। মুখ্যমন্ত্ৰী লাল থানহাওলাকে একজন একনায়কত্ববাদী বলে আখ্যা দিয়েছেন হিফেই। তিনি বলেন, কতিপয় মন্ত্ৰী এবং কংগ্ৰেস নেতা স্বজনতোষণের দ্বারা দল পরিচালনা করছেন। কংগ্ৰেসের দশ বছরের কাৰ্যকালে ব্যাপক দুর্নীতি হওয়ায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
হিফেইএর অভিযোগ, কংগ্ৰেস মিজোরামের স্বার্থে কোনও কাজ করেনি। কেবল দলীয় এবং নেতাদের স্বাৰ্থেই সরকার এতদিন চলেছে। সরকারের কার্যপ্রণালী নীতি ইত্যাদির বিরোধিতা করতেন বলে ইদানীং মুখ্যমন্ত্ৰী লাল থানহাওলার সঙ্গেও তাঁর সম্পৰ্কে চিড় ধরেছিল।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, হিফেই রাজ্য কংগ্ৰেসের একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। দলের অন্যতম চাণক্য বলেও খ্যাতি রয়েছে তাঁর। প্রসঙ্গত গত ১৭ অক্টোবর রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্ৰী তথা কংগ্ৰেস নেতা ডা. বুদ্ধধন চাকমা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। আগামী ২৮ নভেম্বর ৪০ সদস্যের রাজ্য বিধানসভা নিৰ্বাচন। ফলাফল ঘোষণা ১১ ডিসেম্বর।