গুয়াহাটি, ২৩ অক্টোবর (হি.স.) : অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি-র টিকিটে নির্বাচিত উজান অসমের অন্তর্গত দুলিয়াজনের বিধায়ক তেরস গোয়ালা তাঁর পদ থেকে ইস্তফা করেছেন। সোমবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বিধানসভায় দলনেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের কাছে। মঙ্গলবার তিনি তাঁর বিধায়ক পদের ইস্তফাপত্র বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন তেরস। কেবল বিধায়ক পদেই নয়, দলের সব দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি, জানিয়েছেন নিজে।
পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে দুলিয়াজানের বিধায়ক বলেন, তিনি বিজেপি-র আদি কর্মী। অথচ সে রকম মর্যাদা দেওয়া হচ্ছিল না তাঁকে। তাই নানা কারণে অপমাণিত বোধের তাড়ায় বিধায়ক এবং দলের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। দলে এখন নবাগতদের রমরমা। নব্য-বিজেপিদের অতি বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। অথচ পুরনো আদি বিজেপিরা পাত্তাই পাচ্ছেন না। তাঁদের কথাও কেউ শুনে না।
তাঁর কথায় বোঝা গেছে, গতকাল রাজ্যের ৪০টি নিগম-সংস্থায় চেয়ারম্যান এবং ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল যে নিযুক্তি দিয়েছেন তাতেই ক্ষোভ তাঁর। এই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তেরস বলেন, এতটি সংস্থায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, অথচ একবার তাঁর সঙ্গে কেউ কোনও আলোচনাও করার প্রয়োজন মনে করেনি। তাছাড়া, নব্য-বিজেপি শদিয়ার বিধায়ক বলিন চেতিয়াকে আসাম গ্যাস কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করার ঘটনাও যে তাঁর অভিমানের অন্যতম কারণ তা-ও ইঙ্গিতে বলেছেন দুলিয়াজানের বিধায়ক গোয়ালা।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত এপ্রিলের ২৬ তারিখ যখন রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্যরা রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করছেন তখন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন উজান অসমের সদর ডিব্রুগড়ের ‘ক্ষুব্ধ’ বিজেপি বিধায়ক প্রশান্ত ফুকন। তবে তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি। সম্প্রসারিত মন্ত্ৰিসভায় স্থান না পাওয়ায় বিজেপি-র অন্দরে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে বহুদিন ধরে। এর প্রতিফলন ফের আজ ঘটেছে তেরস গোয়ালার পদত্যাগের ঘটনায়।