নয়াদিল্লি, ১০ জুলাই (হি.স.) : দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও বেশি সুদঢ় করার লক্ষ্যে ভারত সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জে ইনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে এই শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয় একাধিক চুক্তি। বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানী দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি । পরে হায়দরাবাদ হাউজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শীর্ষ পর্যায় বৈঠকে বসেন তিনি । বৈঠক অংশগ্রহণ করেন দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি । বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সাতটি মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।
বৈঠকের পর দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে দক্ষিণ কোরিয়া অংশগ্রহণ করেছে। তার ফলে ভারতে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভারতের প্রতিটি বাড়িতে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি নিজেদের পণ্যের পরিচয় তৈরি করতে পেরেছে। তারা অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল বলেই এটি সম্ভব হয়েছে ।
কোরীয় উপকূলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতির অবদানকে প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি মুনের তৎপরতার জন্যই কোরীয় ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জে ইন বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে গত ৪৫ বছর ধরে ভারত-দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অনেক উন্নতি করেছে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন এলেন তখন দুই দেশের ‘বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্ব’-কে আরও শক্তিশালী করা হয়। তিন বছর হল প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘পূবে তাকাও’ নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে । আমারাও ‘নতুন দক্ষিণ নীতি’-কে গুরুত্ব দিচ্ছি । তার ফলে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশ খুব গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে চলেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষিতে প্রধান মোদী এবং আমি রাজি হয়েছি জনগণ, সমৃদ্ধি এবং শান্তির জন্য দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর। ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কোরীয় সফরের জন্য আমি অপেক্ষায় থাকবো। ধারাবাহিকভাবে দুই দেশের মধ্যে প্রতিনিধিমূলক সম্মেলন আগামী দিনে আয়োজন করা হবে।