রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসককে মারধর, কর্মবিরতির জেরে পরিষেবা ব্যহত উদয়পুর হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ৯ জুন ৷৷ এক রোগী মৃত্যুর ঘটনা চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় দিনভর গোমতী জেলা হাসপাতাল চত্তরে এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয় শনিবার৷ ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকরা সকালে ১০টা থেকে সমস্ত রকমের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে কর্মবিরতির ডাক দেয়৷ আর তাতে করে রোগীর চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়৷ ঘটনার খবর পেয়ে এই এলাকার বিধাক তথা মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় হাসপাালে ছুটে যান৷ তিনি গিয়ে হাসপাতাল পরিচালন কমিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন৷ উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক শুভাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহকুমা পুলিশ অধিকারিক হিমাগ্রী প্রসাদ দাস, হাসপাতাল সুপার শিব প্রসাদ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা৷ চিকিৎসকদের দাবি ছিল রোগীর আত্মীয় তথা চিকিৎসক নিগ্রহকারীকে গ্রেপ্তার করার৷ আর যতক্ষণ পর্যন্ত সে গ্রেপ্তার না হবে ততক্ষণ চিকিৎসক পরিষেবা চালু হবে না৷ এই কথা শুনে মন্ত্রী ক্ষোভ উগরে দেন চিকিৎসকের উপর৷ এই অনভিপ্রেত যন্ত্রনার  জন্য মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দোষিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে বলেন৷ কিন্তু এই ঘটনার জন্য অন্য সব রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন এটা অযৌক্তিক বলে আক্ষা দেন মন্ত্রী৷ শেষে পুলিশের আশ্বাস ও মন্ত্রীর ধমকিতে চিকিৎসকরা তাদের নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান বিকেল ৪টে নাগাদ৷ ঘটনার বিবরনে জানা যায় অমরপুর হাসপাতালের এক রেজারের রোগী গত বুধবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্ত্তি হয়৷ আজ সকাল ৯৩০মিঃ নাগাদ রোগীর কক্ষ রাউন্ড দিচ্ছিলেন ডঃ সুজিৎ সূত্রধর৷ ওই সময় রোগীটি মারা যায়৷ বিনা চিকিৎসায় রোগী  মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রোগীর এক আত্মীয় ওই চিকিৎসকের উপর হামলে পরেন৷  তাতে চিকিৎসক অল্পবিস্তর আহত হয় মাথায় ও নাকে৷ এই ঘটনার প্রতিবাদেই ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলে হাসপাতালে৷ চিকিৎসকা সুজিৎ সূত্রধর রাধাকিশোর পুর থানায় রোগীর আত্মীয় কাজল মিঞার বিরুদ্ধে৷ পুলিশ তাকে খুঁজছে আটকের জন্য৷ চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতি জেরে শিশু থেকে প্রবীন সব রোগীর এক করুন চিত্র দেখা দেয় ওই হাসপাতালে৷ দ্বিতীয় ভগবান বলে পরিচিত ডাক্তারদের এই অকৃতজ্ঞতায় অনেক প্রশ্ণ তুলেন মন্ত্রী সহ রোগীরা আত্মীয়রা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *