জোটের বিবাদ চরমে, শান্তিরবাজার ও সাব্রুম সহ নানা স্থানে অবরোধ, চলছে অঘোষিত বনধ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মে৷৷ শান্তিরবাজার, সাব্রুম সহ রাজ্যের দক্ষিণ জেলায় অঘোষিত বন্ধ চলছে৷ বিজেপি ও আইপিএফটি বিবাদ

সাব্রুমে আইপিএফটির পথ অবরোধ আন্দোলন৷ মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

অবসানের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ পথ অবরোধে সমগ্র দক্ষিণ জেলা রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দুপুর বারটা পর্যন্ত৷ শান্তিরবাজারে সখিরামবাড়ি এবং সাব্রুমের শাঁখবাড়িতে মঙ্গলবার আইপিএফটি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে৷ বিএসি চেয়ারম্যানের দাবিতেই আইপিএফটির এই বিদ্রোহ বলে জানা গিয়েছে৷ এদিন পুলিশ এবং অন্যান্য সুরক্ষা বাহিনী যথেষ্ট ধৈর্যের সঙ্গে সুপরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করেছে৷

জানা গেছে, সকাল ছয়টা থেকেই শান্তিরবাজার সখিরামবাড়ি এবং সাব্রুমের শাঁখবাড়িতে আইপিএফটি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল৷ জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে দক্ষিণ জেলা সমগ্র রাজ্য থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে৷ এই অবরোধকে ঘিরে পরিস্থিতি খুবই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল৷ রাজ্য প্রশাসন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, পরিকল্পনামাফিক অবরোধ সংগঠিত করা হয়েছে৷ ভোর পাঁচটায় অবরোধ করার চেষ্টা শুরু হয়৷ যদিও সুরক্ষা বাহিনীর কাছে আগাম খবর থাকায় ততক্ষণে আইপিএফটি কর্মী সমর্থকদের একসঙ্গে পথে বসতে দেওয়া হয়নি৷ পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করেছে৷

জানা গেছে, রাজ্যের অন্যান্য বিভিন্ন এলাকায়ও উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে৷ সোমবার চাম্পাহওরে থানা ঘেরাও করেছিল আইপিএফটি সমর্থকরা৷ এমনকি থানায় ভাঙচুর চালানো হয়৷ মঙ্গলবারও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সে ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷ তবে পুলিশ ও অন্যান্য সুরক্ষা বাহিনী যথেষ্ট ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে৷ প্রত্যন্ত এলাকার থানাগুলির বাইরে সুরক্ষাবলয় তৈরী করা হয়েছে৷

রাজ্যের উপজাতিপ্রধান প্রায় সব এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ তবে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ অন্যদিকে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে সম্ভাব্য সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে৷ যেকোনও সময় আইপিএফটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যেতে পারে আশঙ্কায় দলের স্থানীয় নেতাদেরও সেভাবে তৈরী থাকতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ তবে আইপিএফটি কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

এদিন অবরোধ প্রত্যাহারে দফায় দফায় প্রশাসনের তরফে আইপিএফটির সাথে আলোচনা করা হয়৷ কিন্তু, প্রতিক্ষেত্রেই কোন সুরহা মিলছিল না৷ অবশেষে যাত্রী দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে দুপুর বারটা নাগাদ অবরোধ প্রত্যাহার করে আইপিএফটি৷ কিন্তু, ফের জাতীয় সড়ক অবরোধের হুমকি দিয়েই এদিনের অবরোধ প্রত্যাহার করেছে আইপিএফটি৷ তাঁদের সাফ কথা, বিএসি চেয়ামর্যান সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে৷ নইলে, সারা রাজ্যেই এভাবেই অস্থিরতা জিইয়ে রাখবে আইপিএফটি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *