থমথমে গন্ডাছড়া, কিল্লায় বিজেপির চেয়ারম্যানে অখুশী আইপিএফটি ডাক দিল কিল্লা ব্লক বন্ধের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মে৷৷ ব্লকের চেয়ারম্যান নিযুক্তিকে কেন্দ্র করে রবিবার দ্বিতীয় দিনেও অগ্ণিগর্ভ হয়ে আছে গন্ডাছড়া৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপির নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে৷ গন্ডাছড়ার পরিস্থিতি শনিবার থেকে অগ্ণিগর্ভ হয়েছে আছে৷ ব্লক উপদেষ্টা কমিটি (বিএসি) এর চেয়ারম্যান পদে নাম ঘোষণার পর থেকে এই বিবাদের সূত্রপাত ঘটে৷ এদিকে, কিল্লা ব্লকেও অনুরূপ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে৷ বিজেপির রামপদ জমাতিয়াকে বিএসির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করায় বেজায় চটেছে আইপিএফটি৷ অনির্দষ্টকালের জন্য এই ব্লকে বন্ধের ডাক দিয়েছে আইপিএফটি৷
সরকার পরিবর্তনের পর ত্রিপুরা উপজাতি এলাক স্ব-শাসিত জেলা পরিষদেও রাজনৈতিক নিযুক্তি প্রাপ্ত পদগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদল ঘটাল বর্তমান সরকার৷ চলমান এই প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়ে শুক্রবার ২৭টি ব্লকে ব্লক এডভাইসরি কমিটির চেয়ারম্যানকে বদল করা হয়েছে৷ কিন্তু সরকারী পদক্ষেপে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট শরিকদের মধ্যে৷ শরিক দলের স্থানীয় নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগাতে শুরু করেছে৷ অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে৷ জানা গেছে, রাইমাভ্যালি বিধানসভা কেন্দ্রটি জোট শরিক আইপিএফটির দখলে রয়েছে৷ যদিও এই কেন্দ্রটিতে বিজেপির ভিত যথেষ্ট শক্ত৷ গঙ্গানগর ব্লকের চেয়ারম্যান করা হয়েছে আইপিএফটির জীবনজয় রিয়াংকে৷ আর ডুম্বরনগর ব্লকের চেয়ারম্যান করা হয়েছে আইপিএফটির বিধায়ক ধনঞ্জয় ত্রিপুরাকে৷ আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে যান শরিক দুই দলের সমর্থকরা৷ এর ফলে রনংদেহী রূপ নেয় গন্ডাছড়া৷ দুই ব্লকের চেয়ারম্যান আইপিএপটির হওয়ার ফলে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভে গন্ডাছড়ার পরিস্থিতি অগ্ণিগর্ভে হয়ে উঠে শনিবার থেকে৷ শুক্রবার বিষয়টি সম্পর্কে কেউ জানতেই না৷ কিন্তু শনিবার আইপিএফটির নেতাদের চড়া স্বরে বিষয়টির জানান দিতেই জোট সংঘাত শুরু হয়৷ এরপর শনিবার গন্ডাছড়া বাজারের সমস্ত দোকান পাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো গন্ডাছড়া বাজার শ্মাশানের রূপ নেয়৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়, গন্ডাছড়া-আগরতলা, অমরপুর, গন্ডাছড়া-আমবাসা সড়কে যান চলাচল৷ রবিবারও অনুরূপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ যদিও পরবর্তী সময়ে জনগণের অসুবিধের কথা মাথায় রেখে সড়ক পথ খুলে দেওয়া হয়৷ কিন্তু রবিবারও গন্ডাছড়া বাজারে একই ছবি পরিলক্ষিত হয়েছে৷ দোকান পাঠ এখনো বন্ধ৷ ধর্মঘটের ন্যায় পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ মানুষ ঘর থেকে বেরুচ্ছেন না৷ রবিবার সকাল থেকে কোন দোকান পাঠ খুলেনি৷ এর ফলে সাধারণ জনজীবন বিপর্যন্ত৷ আবার স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *