ফের শহরে উচ্ছেদ অভিযান, গুড়িয়ে দেওয়া হল আরও কিছু পার্টি অফিস ,প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনী পথে হাটবে কংগ্রেস

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মে৷৷ দুদিন বিরতির পর আবার রাজ্য প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে৷ গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অবৈধ কার্যালয়৷ রাজধানী আগরতলার মঠ চৌমুহনী এবং আশ্রম চৌমুহনীর এলাকায় রবিবার ভোর থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়৷ জাতীয় সড়ক সংলগ্ণ মঠ চৌমুহনীর কংগ্রেস ভবন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহকারী জমিতে রাজপথের বাড়ি গুলিকে ড্রজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়৷ ভোরে সমগ্র এলাকাকে নাকাবন্দী করে দেওয়া হয়৷ যান চলাচল কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ করে দেওয়া হয়৷ এরপর সমগ্র এলাকাটিকে ঘিরে রেখে শুরুহয় উচ্ছেদ প্রক্রিয়া৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই এই উচ্ছেদ অভিযান আশ্রম চৌমুহনী এলা- কাতেওসম্প্রসারিত হয়৷ ঝাড়ের গতিতে একের পর এক পার্টি অফিস ভেঙ্গে দেওয়া হয়৷ একেই সঙ্গে তুলে নেওয়া হতে থাকে স্তূপীভূত ধবংসাবশেষ৷ উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসন ও মহকুমা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন৷ পুলিশ ছাড়াও আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদেরও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য পথে নামানো হয়৷ ক্ষতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দলগুলির তরফে এই সরকারী উচ্ছেদ অভিযানে বিরোধিতা করা হলেও, গণতন্ত্র বিপর্যন্ত বলে উল্লেখ করা হলেও সাধারণ মানুষ এই উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানাচ্ছে৷ শনিবার সন্ধ্যার পর চন্দ্রপুরের স্থানীয় জনগণ রাজপথের ধারের একটি রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবৈধ গর ভেঙ্গে গিয়েছে৷ গ্রন্থাগারের নামে এই বাড়িটিতে অসামাজিক কাজ হত বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ৷ রবিবারের সরকারী উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় জনগণের ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়েছে৷
এদিকে, বিকালে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায় অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার পার্টি অফিস উচ্ছেদের যে অভিযান শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস আইনের দ্বারস্থ হবে৷ চল্লিশ বছরেরও পুরনো পার্টি অফিস ভেঙে ফেলা হচ্ছে৷ যেখানে খাস জমিতে পার্টি অফিস গড়ে তোলা হয়েছে তার পাশেই পুর নিগমের ওয়ার্ড অফিস রয়েছে মঠচৌমুহনীতে৷ প্রশাসন যদি খাস জমি পুণরুদ্ধারে এই অভিযান চালিয়ে থাকে তাহলে পুর নিগমের ওয়ার্ড অফিসটিও ভাঙতে হবে৷ কিন্তু, প্রশাসন তা করেনি৷ কংগ্রেস ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে৷ গোপাল রায় জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই কংগ্রেস রাজ্যের বিজেপি সরকার তথা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনী পথে হাটবে৷ সাত দিনের নোটি দিয়ে প্রশাসন চল্লিশ বছরের পুরনো কংগ্রেস ভবন ভেঙ্গে দিয়েছে সেটা অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছে রাজ্য সরকার, মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *