
প্রায়ই ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকদের কাছে বিভিন্ন অফার সংক্রান্ত ফোন আসেই। সহজে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কিছু টাকার প্রয়োজন ছিল পশ্চিম দিল্লির জনৈক এক মহিলার | তবে একেবারে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার মতো পরিস্থিও তৈরি না হলেও ‘ব্যাঙ্ক’-এর কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে দীপক অরোরা নামে ধৃত ব্যক্তি যেভাবে ফোন করে তাঁকে ব্যক্তিগত ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন, তাতে না করতে পারেননি ওই মহিলা। ঋণ নিতে রাজি হন তিনি। সেইমতো, মহিলা আধার কার্ড ও ক্যানসেলড চেক ওই ব্যক্তিকে দেন। তবে, মহিলা নিজের হাতে চেক ক্যানসেল করেননি। ওই ব্যক্তিকে করতে দেন। কায়দা করে ওই প্রতারক চেক ক্যানসেল না করে প্রাপকের জায়গায় একটি লাইন টেনে দেয়। মহিলাকে সে জানায় যে, চেকটি ক্যানসেল হয়ে গিয়েছে।
অভিযোগ, আধ-ঘণ্টার মধ্যেই মহিলার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। জানানো হয়, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩.৮ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। মহিলা সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে ছোটেন। কিন্তু, ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। চেকে মহিলার স্বাক্ষর থাকায় ব্যাঙ্ক টাকা দিয়ে দেয়।
তা সত্ত্বেও, হাল না ছেড়ে পুলিশে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। পুলিশ তদন্তে নেমে ৪০ বছরের অভিযুক্ত দীপক অরোরাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের স্ত্রীর খোঁজ চলছে। হয়। এর আগেও দুটি এই ধরণের প্রতারণা করেছে দীপক।