গুয়াহাটি, ১৮ এপ্রিল (হি.স.) : ফের তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে গেলেন দুই আয়কর কমিশনার, একজন আধিকারিক, একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট এবং একজন মধ্যস্থতাকারী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের আরও পাঁচদিনের হেফাজত চেয়েছিল। কিন্তু, আদালত সেই আর্জি খারিজ করে তিনদিনের জন্য তাঁদের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
আয়কর ফাঁকিতে সহায়তা করার দায়ে এবং ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করার অভিযোগে গুয়াহাটি কর ভবনের অডিট শাখার কমিশনার ড. শ্বেতাভ সুমন, আয়কর অফিসার প্রতাপ দাস, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট তথা আইনজীবী রমেশ গোয়েঙ্কা এবং মধ্যস্থতাকারী তথা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী প্রাঞ্জল শর্মাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত ১২ তারিখ রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেদিন গুয়াহাটি কর ভবন এবং বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে বহু নথিপত্র এবং নগদ ৪০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছেল। গ্রেফতারের পর আদালতে তুলে তাদের পাঁচদিনের জিম্মায় নিয়েছিল সিবিআই। জিম্মার মেয়াদ শেষ হলে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ফের এই চারজনকে আদলতে তুলে আরও তিনদিনের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, সেদিন তদন্তকারী সিবিআইয়ের ২০ জনের দল এক সঙ্গে গুয়াহাটি, যোরহাট, নগাঁও, হোজাই, শিলং, দিল্লি এবং নয়ডায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছিল। পরবর্তীতে টানা জেরার পর তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আয়করে সিবিআই হানার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বহু বড় ব্যবসায়ীর কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে বলে এক বিশেষ সূত্রের খবরে প্রকাশ। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী কৈলাস লোহিয়াকে এক দফা জেরা করা হয়েছে। গা ঢাকা দিয়েছেন সুরেশ আগরওয়ালা।