পুর নিগম ও রাজ্য সরকারের টানাপোড়েনে নাগরিক পরিষেবা শিকেয়, বাড়ছে দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ এপ্রিল৷৷ রাজ্যের বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকারের সঙ্গে সিপিআইএম পারিচালিত আগরতলা পুর নিগমের সংঘাত ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ সরকারের সঙ্গে সরাসরি অন্তঘার্তের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়েও সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতা৷ রাজ্যের স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থাগুলির প্রায় সবকটিই এখনও সিপিআইএম এর নিয়ন্ত্রণাধীন৷ কিন্তু রাজ্যে সরকার বদলের পর সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনগুলির কাজকর্মও নিয়ে জটিলতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থাগুলির মধ্যে বৃহত্তম আগরতলা পুরনিগমের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে৷ ফলে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে নাগরিক পরিষেবা৷ রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন স্থন থেকে ডাস্টবিন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ শুধু আবাসিক এলাকাগুলিই নয়, বাণিজ্যিক এলাকাগুলি থেকেও তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ আবর্জনা রাস্তার ধারে স্তূপ হয়ে গেছে৷ রাজপথগুলির দুধার আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে৷ দূষিত হয়ে উঠেছে পরিবেশ৷ জানা গেছে, সরকারে সঙ্গে বৈরিতার জেরেই এমনটা হচ্ছে৷ আবার পুর পারিষদ রাজনৈতিক বিরোধের জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে নগর পরিষেবা৷ পুর পারিষদ থেকে শুরু করে আধিকারিকরাও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন৷ ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্থির পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে৷ কোনওভাবেই অবস্থা স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না৷ এতে শহরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন৷ অবার উপচেপড়া আবর্জনার কারনে বিভিন্ন এলাকয়া প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে৷ সাধারণ পথচলতি মানুষকে নিত্যদিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷ আগরতলা শহরে ট্রাফিক দফতর অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ৷ আবার ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে আবর্জনা রাস্তাতেই ফেলছেন৷ প্রতিদিন নতুন করে দুর্ভোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে৷ ট্রাফিক দফতর সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে নির্বিকার৷ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷ রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকার অবগত৷ অচিরে নগরোন্নয়ন দফতর পুরনিগমের মেয়র, পুরপারিষদ এবং আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকবে বলে তিনি জানান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *