বিশালগড়ে গাঁজা বাগিচায় নতুন চারা রোপনে ধুম, পুলিশ ধৃতরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৪ এপ্রিল৷৷ গাঁজা গাছের চারা লাগানোর মরশুম শুরু হচ্ছে জৈষ্ঠ্য আষাঢ় মাসে৷ গাঁজা চাষীরা নতুন করে গোবর ক্রয় করতে শুরু করেছে৷ গাঁজা চাষ করতে প্রচুর গোবর লাগে৷ বিশালগড় মহকুমার যারা গো-পালক রয়েছে তাদের বাড়ী বাড়ী বলেরো গাড়ীর আনা গোনা শুরু হয়েছে৷ বিশালগড় মহকুমার এক শ্রেণীর গোবর ব্যবসায়ী রয়েছে যারা সমস্ত গোবর বেশী দাম দিয়ে গো-পালকদের কাছ থেকে ক্রয় করে নেয়৷ এরপর তারা এই গোবরগুলি গাঁজা চাষীদের কাছে বেশী দামে বিক্রি করে৷ যার কারনে অন্যান্য সব্জি চাষীরা গোবর পায়না এমনই অভিযোগ বিশালগড় মহকুমার পাতা সব্জি চাষীদের৷ সাত থেকে আট মাসের মধ্যে গাঁজা গাছ ফলন দেয়৷ জৈষ্ঠ্য আষাঢ় মাসে চারা রূপন করলে মাগ মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়৷ কমলাসাগর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা এবং সুতারমুড়া এলাকায় বিভিন্ন প্রান্ত গাঁজা চাষের চিন্তরন ভূমি৷ এই জায়গা গুলিতে শত শত একর জুড়ে তৈরী নতুনি গাঁজার চারা রূপনের কাজ৷ গাঁজা চাষ অত্যন্ত লাভজনক৷ এই গাঁজা চাষের সিজন শুরু হলে শ্রমিক এবং গোবর ও সার সমস্ত কিছু পেতে অন্যান্যচাষীদের কষ্ঠ্য হয়৷ গাঁজা চাষের জমিতে যদি কোন শ্রমিক হাজিরা কাজে যায় তাহলে পায় ৮০০ টাকা৷ আর পাতা সব্জি চাষে যদি কোন শ্রমিক যায় তাহলে যে পায় ৩০০ টাকা৷ এই কারনেই সমস্ত শ্রমিক গাঁজা চাষের মাঠে কাজ করতে দৌড়ায়৷ পুলিশ প্রশাসন যদি গাঁজার নেশার আওতা থেকে বিশালগড় মহকুমাকে মুক্ত করতে চায় তাহলে এখন থেকে তল্লাশি অভিযান চালালে গঁজা াচাষ কমানো যাবে৷ এই শুকনো নেশার হাত থেকে বিশালগড় মহকুমাকে রক্ষা করতে পারবে৷ এই সময়টাই হল গাঁজা খেত নষ্ট করার উপযুক্ত সময়৷ আবার এই সময়টা গাঁজা পাচারের ও উপযুক্ত সময়৷ কারন গত মাগ এবং ফাল্লগুনের গাঁজা গুলি শুকিয়ে ড্রামভর্তি করে এখন থেকে বহিঃরাজ্যে শুরু করা হবে৷ বিশালগড় পাচার এবং আমতলী থানার নাকের ডগায় সামনে দিয়েই এই শুকনো গাঁজা গুলি পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে৷ এমনই আভাষ মহকুমার গাঁজা পাচার চক্রীদের মধ্যে৷ বিশালগড় পুলিশ প্রশাসন উদ্যোগী হলেই গাঁজা চাষ এবং পাচারের মেরুদন্ড সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দিতে পারবে এমনই অভিমত মহকুমার মানুষজনদের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *