নয়াদিল্লি, ১১ জানুয়ারি (হি.স.) : বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসার প্রথম দিনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক করার আর্জি জানিয়েছেন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং| তিনি যে বিচ্ছিন্নতাবাদী নন তাও তিনি এদিন সংবাদিকদের কাছে পরিস্কার করে দেন| তিনি তার বিচ্ছিন্নতাবাদী তকমা খারিজ করে জানিয়েছেন, ভারতীয় সংবিধানের মধ্যে থেকেই তাঁর দল পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানিয়েছে। দেশের অখণ্ডতায় বিশ্বাস করেন তিনি। গোর্খাদের স্বার্থে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তিনি এতদিন আন্দোলন করেছেন বলে তিনি এদিন জানিয়েছেন| তিনি ফৌজদারি মামলা নিয়ে রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করে দাবি করেন, তাকে ও তার দলের কর্মীদের ভুয়ো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করেছে পুলিশ। সেইসব অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের এদিন দাবি জানান মোর্চার এই নেতা।
মোর্চা নেতারা জানান, ৩৫০টির বেশি মামলা হয়েছে গুরুঙের বিরুদ্ধে। ইউএপিএ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা চলে তিনি এত দিন প্রকাশ্যে আসতে পারেননি| কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগে বিমলকে কোনও কিছু করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়ার পর এদিন তিনি প্রথম সর্ব সমক্ষে আসেন|
এদিন প্রকাশ্যে এসেই তিনি সাংবাদিকদের কাছে দার্জিলিঙের অচলাবস্থা কাটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেন| তাঁর আন্দোলন নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে গুরুং বলেন, আমাদের আন্দোলন গোর্খা জাতি সত্ত্বার স্বীকৃতির জন্য। মোর্চার এই নেতা আরও বলেন, রাজ্যের মানুষের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। তবে গোর্খাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি আলাদা। আমি যে আন্দোলন করেছি তা সংবিধান মেনেই করেছি|
গতবছরের জুন থেকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে দার্জিলিং। সেই আন্দোলনে রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন গুরুং। বলেন, দার্জিলিঙে হিংসায় ১১ জন মোর্চা সমর্থক মারা যান। বিনয় তামাং দলের কর্তিত্ব নেওয়া এবং তাকে জিটিএ-এর চেয়ারম্যান করা নিয়ে এদিন কোনও মন্তব্য করেননি গুরুং।