নয়াদিল্লি, ৬ জানুয়ারি (হি.স.) : সারা দেশে উচ্চশিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে ৮০,০০০ ভুয়ো শিক্ষক–শিক্ষিকার হদিশ মিলল। নতুন সমীক্ষায় এই তথ্যই হাতে পেয়েছেন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
শিক্ষামন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন কলেজে এ ধরনের শিক্ষকের হদিশ মিলিছে আধার কার্ডের সাহায্যে। এমন ৮০ হাজার শিক্ষকের খোঁজ মিলেছে যাঁরা একইসঙ্গে একাধিক কলেজে কাজ করছেন। সারা দেশে উচ্চশিক্ষার হালহকিকত সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর এই তথ্য সামনে এসেছে। অল ইন্ডিয়া সার্চ অন হায়ার এডুকেশন (এআইএসএইচই)-র রিপোর্ট অনুসারে, দেশে এমন কয়েক হাজার শিক্ষক রয়েছেন যাঁরা একের বেশি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন পান।
ওই শিক্ষকদের আধার নম্বর থেকে এই তথ্য জানতে পারা গিয়েছে। এআইএসএইচই কেন্দ্রীয় সরকারের বার্ষিক সমীক্ষা। এতে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত হালহকিকতের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান পেশ করা হয়। এই সূত্রেই সমীক্ষায় দেশের অধ্যাপকদের কাছ থেকে তাঁদের আধার নম্বর চাওয়া হয়েছিল। এতে ধরা পড়ে যে, প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যাঁদের আধার নম্বর একের বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী হিসেবে পাঠিয়েছে। অর্থাৎ, ওই অধ্যাপকরা একইসঙ্গে একের বেশি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেতন নিচ্ছিলেন।
এই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রোফেসর এবং প্রোফেসর মিলিয়ে উচ্চ শিক্ষায় মোট ১৫ লক্ষ শিক্ষক রয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাড়ে বারো লক্ষ জনের আধার কার্ড যাচাই করে দেখা হয়েছে। এতেই জানতে পারা যায় যে, কয়েক হাজার শিক্ষক একইসঙ্গে একাধিক উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, কোনও কোনও শিক্ষক তো এতই সক্রিয় যে তিন বা চার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। এই ঘটনার তদন্ত হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে এ ধরনের ৮০ হাজার শিক্ষকের নাম বাদ যাবে। এরফলে বেতন বাবদ খরচও বাঁচবে।