নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজধানী আগরতলা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে মজলিস বিধানসভা কেন্দ্রে
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ব্যাপক রাজনৈতিক সন্ত্রাস শুরু হয়েছে৷ সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে বিজেপি এবং তার শাখা সংগঠনগুলির কর্মীরা৷ এই সংঘর্ষের জেরে শুক্রবার অঘোষিত বনধ এর চেহারা নিল ত্রিপুরার জনজাতি এলাকার স্বশাসিত জেলা পরিষদের অন্তর্গত খুমুলুঙ সহ বেশ কিছু আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা৷ শুক্রবার সকাল থেকেই এই এলাকাগুলিতে অঘোষিত বন্ধের আকার ধারণ করেছে৷ এদিন সকাল থেকেই এলাকার দোকানপাট ছিল বন্ধ৷ যান চলাচল ছিল অনিয়মিত৷ এর মধ্যেই খুমুলুঙ এলাকায় যাত্রী নিয়ে অটো চালাবার দায়ে এক অটো চালকের কান কেটে দেয় দুসৃকতিরা৷ এই ঘটনার পর আক্রান্ত অটো চালক জিরানিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন৷ এদিকে খুমুলুঙ এলাকা সহ বেশ কিছু এলাকার এদিন চাপা উত্তেজনা ছিল৷ এলাকা জুড়ে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷
যাত্রি খুমুলুঙে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন অটো চালক৷ জানা গেছে, শুক্রবার অভয়নগর থেকে খুমুলুঙ ইংলিশ মিডিয়াম সুকলের জনৈকা শিক্ষিকাকে খুমুলুঙে পৌঁছে দিতে যান অটো চালক আলম মিঞা (৪২)৷ ফেরার পথে খুমুলুঙ কলেজের সামনে চার উপজাতি যুবক তার পথ আটকায়৷ তাকে অটো থেকে বের করে মারধর করে৷ তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে৷ চিৎকার শুনে স্থানিয় জনগন ছুটে আসলে ওই চার উপজাতি যুবক সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ তাকে প্রথমে জিরানিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে চিকিৎসকরা তার অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে তাকে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন৷ বর্তমানে তিনি জিবি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷ এই খবর পেয়ে মোটর শ্রমীক সংগঠন ভিষণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে৷ ঘটনার পর খুমুলুঙে কোন গাড়ি যায়নি৷ ফলে নিত্য যাত্রিরা বিপাকে পরেন৷ এদিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে খুমুলুঙে বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা ভিত সন্তস্ত হয়ে পরেন৷ বাঙালি অফিস
করণিকরা এদিন আর অফিসে যাননি৷ এডিসি প্রশাসনের কার্যকর্র্তদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যদিয়ে খুমুলুঙে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ঘটনার আগেই যারা অফিসে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাদের নিরাপত্তা রক্ষীদের সহায়তায় সেখান থেকে আনা হয়েছে৷ এই ঘটনায় এদিন দিনভর খুমুলুঙ সহ বিস্তির্ণ এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করেছে৷ এদিকে, আগরতলা খোয়াই রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷