পণের জন্য গৃহবধূকে খুন, গ্রেপ্তার স্বামী ও শ্বশুর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ জুলাই৷৷ আরও এক গৃহবধূকে পণের জন্য খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাটি ঘটেছে ধলাই জেলার কমলপুর থানার অধীন ভূবনছড়া গ্রামে শনিবার রাতে কোন এক সময়৷ পুলিশ খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে স্বামী ও শ্বশুরকে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷ জানা গিয়েছে অভিযুক্ত স্বামী শাসক দলের ক্যাডার এবং সিট্যুভুক্ত মোটর শ্রমিক সংগঠনের কট্টর সদস্য৷
সংবাদে প্রকাশ, সাত মাস আগে ভূবনছড়ার বাসিন্দা অরবিন্দ দে’র ছেলে সুবীর দে’র সাথে বিয়ে হয়েছিল সুচন্দা দাস (১৯) নামে এক যুবতীর৷ সামাজিক রীতি মেনেই বিয়ে হয় তাদের৷ বিয়েতে সুচন্দার বাবা আশিষ কুমার দাস নগদ কুড়ি হাজার টাকা বরপণ হিসেবে দিয়েছিলেন৷ দর্জির কাজ করে এর বেশী আর কিছুই দিতে পারেননি আশিষবাবু৷ এদিকে, অভিযোগ উঠেছে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সুচন্দার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় পণের জন্য৷ নির্যাতনে সামিল ছিল স্বামী সুবীর দে, শ্বশুর অরবিন্দ দে সহ শাশুড়ি এবং জা৷ এনিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে৷ কিন্তু, কোনভাবেই খাই মিটেনি স্বামীর বাড়ির লোকদের৷
শুক্রবার গভীর রাতে সুচন্দা অসুস্থ বলে শ্বশুর অরবিন্দ দে খবর পাঠায় তাঁর বাপের বাড়িতে৷ রাতেই সুচন্দার বাবা সহ আত্মীয় পরিজন কমলপুর হাসপাতালে ছুটে যায়৷ সেখানে গিয়ে দেখতে পান হাসপাতালের শয্যায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সুচন্দার বাবা ও আত্মীয় পরিজনরা৷ বাবা আশিষ কুমার দাস কমলপুর থানায় মৃতার স্বামী, শ্বশুর, শাশুিিড়, ভাসুর, তেবর এবং জা এর নামধাম দিয়ে একটি হত্যা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন৷ পুলিশ মামলা নিয়ে অভিযুক্ত স্বামী তথা বামপন্থী মোটর শ্রমিক সংগঠনের কট্টার সদস্য সুবীর দে এবং শ্বশুর অরবিন্দ দে-কে গ্রেপ্তার করেছে৷ পুলিশ জানিয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই বোঝা যাবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে গৃহবধূ সুচন্দা দাসের৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷