নেশা কারবারের মাস্টারমাইন্ড মনীশ সিনহার বিলাসবহুল থার গাড়ি উদ্ধার করল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ অক্টোবর:
পলাতক নেশা কারবারের মূল চক্রের হোতা মনীশ সিনহার ব্যবহৃত বিলাসবহুল থার গাড়ি উদ্ধার করল আমতলী থানার পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যজুড়ে মনীশ সিনহার সন্ধানে তৎপর ছিল পুলিশ, অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে সেই গাড়ি উদ্ধার হওয়ায় নেশা চক্রের জাল আরও এক ধাপ উন্মোচিত হল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিশালগড় থানার অন্তর্গত পূর্ব চাম্পামুড়া এলাকার বাসিন্দা মনীশ সিনহা রাজ্যের অন্যতম নেশা কারবারের মূল মাস্টারমাইন্ড। ত্রিপুরা ছাড়াও অসমের একাধিক থানায় তার বিরুদ্ধে নার্কোটিক্স অ্যাক্টে মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশি নজর এড়িয়ে আত্মগোপনে রয়েছে মনীশ।

অমরপুর এলাকার এক নিখোঁজ নাবালিকা কিশোরীর সন্ধানে মঙ্গলবার বিকেলে আমতলী থানার পুলিশ মধুবন ঝরঝরিয়া এলাকার বিশ্বমাতা ক্লাব সংলগ্ন মৃত দুলাল সরকারের ছেলে বিজয় সরকারের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানে নাবালিকার খোঁজ না মিললেও পুলিশ চমকে ওঠে, কারণ বাড়ির উঠানে পড়ে ছিল মনীশ সিনহার ব্যবহৃত থার গাড়িটি।

গাড়িটির নাম্বারপ্লেট ও কাগজপত্র যাচাই করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, এটি বহুদিন ধরেই নেশা পাচারের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল এবং একাধিক থানার পুলিশ এর খোঁজ করছিল। পরে বিজয় সরকারের বাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ উদ্ধার করে দুটি নকল আসাম নিবন্ধিত নাম্বারপ্লেট।

এতেই পুলিশের সন্দেহ হয় যে বিজয় সরকারও এই নেশা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ফলে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ বিজয় সরকারের ছোট ভাই পাপাই সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
উদ্ধারকৃত গাড়িটি পরে পুলিশ টেনে নিয়ে আসে আমতলী থানায়। তদন্তের স্বার্থে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি তদন্তকারী অফিসাররা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয় সরকারের বাড়িতে মনীশ সিনহার গাড়ি রয়েছে তা এলাকাবাসীরা আগে জানতেন না। তবে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশি অভিযান ও গাড়ি উদ্ধারের পর ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদেরও শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে এবং খুব শিগগিরই এই নেশা চক্রের পেছনের সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হবে।