দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সহ শারদোৎসবের পূর্বে রেগা বকেয়া মজুরি ও রেগা সহ সরকারি অন্যান্য দফতরের ন্যূনতম ১০ দিনের কাজের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

আগরতলা, ২১ সেপ্টেম্বর: শারদোৎসবের পূর্বে রেগা বকেয়া মজুরি ও রেগা সহ সরকারি অন্যান্য দফতরের ন্যূনতম ১০ দিনের কাজের ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আজ মূখ্যমন্ত্রীর নিকট চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা।

চিঠিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উল্লেখ করেন, “আপনি বর্তমান সময়ের রাজ্যের সব অংশের মানুষের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক- প্রশাসনিক গুরুতর সমস্যাবলি সম্পর্কে অবগত আছেন। এর মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা যেগুলি খুব সহজেই সমাধানযোগ্য, এবং শারদোৎসবের প্রাক্কালে অতীব জরুরি সেসব নিয়ে গত ৬ই সেপ্টেম্বর প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল আপনার সাথে সাক্ষাতে মিলিত হয়ে এই বিষয়গুলি আপনাকে অবহিত করতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনার সাথে প্রতিনিধি দলের আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ইতিবাচকই হয়েছিল। আপনি আশ্বস্ত করেছিলেন, কংগ্রেসের স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো নিয়ে আপনার পক্ষে যথাসম্ভব আন্তরিক উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হবেন।”

চিঠিতে আরো বলা হয়, ঐ দাবিসনদে অন্যতন দুটি দাবি বিশেষত রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামীণ কৃষিজীবী শ্রমজীবী দরিদ্র নারী-পুরুষদের বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন রেগার কাজ ও দ্রুত মজুরি প্রদান সহ পাহাড় ও সমতলে সর্বত্র রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি রূপায়ণে অন্যান্য দফতরগুলি থেকে বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে উন্নয়নের কাজের মাধ্যমে গ্রামের সব অংশের দরিদ্র নারী-পুরুষদের কাজের ব্যবস্থা করার। এই প্রশ্নে সুনির্দিষ্টভাবে দাবি ছিলো রেগার বকেয়া সমস্ত ন্যায্য মজুরি রেগা শ্রমিকদের মিটিয়ে দেওয়া সহ শারদোৎসবের পূর্বে রেগার আরও কিছু কাজ দেওয়ার সাথে এই সময়ে রাজ্য সরকারের অন্যান্য দফতরগুলি থেকে গ্রামের দরিদ্র মহিলা-পুরুষদের অন্তত দশ দিনের কাজের ব্যবস্থা করার। ৬ই সেপ্টেম্বরের পরও রাজ্যে অস্বাভাবিকভাবে সবজি, মাছ, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি সহ প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় মূল্যবৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের সংবাদমাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছিলো প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, গত ১৫ই সেপ্টেম্বর একযোগে রাজ্যের ২৩টি মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে কংগ্রেস দলের জেলা পর্যায়ের নেতৃত্বের তরফে এক প্রতিনিধি দল এই দাবি নিয়ে মহকুমা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের আবেদনের পরও গতকাল পর্যন্ত সরকারের দিক থেকে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। রাজ্যব্যাপী বিশেষত গ্রামীণ দরিদ্র নিম্নবিত্ত মানুষের সাথে রাজ্যের একটা বড় অংশের ছোট ছোট দোকানি যারা শারদোৎসবকে কেন্দ্র করে নানাভাবে বিভিন্ন সামগ্রী মজুত করেছিলো, তারাও একেবারে উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছে। কংগ্রেস এই পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তাই চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আবেদন করা হয়, রাজ্যের এই বিরাট অংশের মানুষের শারদোৎসবের আনন্দ যাতে একেবারে মাটি হয়ে না যায়, উনারা যাতে উনাদের ঘরের শিশুসন্তান সহ সকলকে নিয়ে উনাদের মতোই অন্তত উৎসবের কিছুটা অংশীদার হতে পারে সেই ক্ষেত্রে রেগার বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেওয়া এ সময়ে অন্তত দশদিনের সরকারি কাজের ব্যবস্থা ও কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিক রাজ্যসরকার।