“আলোচনার পক্ষপাতী ভারত, কিন্তু কঠোর জবাব দিতেও পিছপা নয়” — হায়দরাবাদ মুক্তি দিবসে বললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং

হায়দরাবাদ, ১৭ সেপ্টেম্বর: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বুধবার হায়দরাবাদ মুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, ভারত শান্তি ও আলোচনায় বিশ্বাসী, তবে দরকার পড়লে কঠোর শক্তি প্রয়োগ করতেও পিছপা হয় না। তিনি জানান, ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯-এর বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক এবং সাম্প্রতিক অপারেশন ‘সিন্ধূর’ এই নীতিরই প্রমাণ।

রাজনাথ সিং বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের হামলার জবাবে আমাদের সেনা পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। পহেলগামে নিরীহ নাগরিকদের ধর্মের ভিত্তিতে হত্যা করা হয়েছিল, কিন্তু আমাদের বাহিনী তাদের কর্মের মাধ্যমে জবাব দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “যদি সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ আবারও মাথাচাড়া দেয়, তবে অপারেশন সিন্ধূর ফের শুরু হবে পূর্ণ শক্তি নিয়ে।”

এই অভিযানে ভারতের নিজস্ব সিদ্ধান্তে পরিচালিত হওয়ার বিষয়ে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।”

রাজনাথ সিং এই উপলক্ষে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে ‘আয়রন ম্যান’ বলে স্মরণ করেন, যিনি ১৯৪৮ সালে অপারেশন পোলো-র মাধ্যমে হায়দরাবাদকে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি বলেন, “রাজাকারদের ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে অপারেশন পোলো বিশ্বকে দেখিয়ে দেয় যে ভারত তার ঐক্য রক্ষা করতে সবসময় প্রস্তুত।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “যেভাবে সর্দার প্যাটেল ভারতের একতা গড়ে তুলেছিলেন, আজ তেমনি মোদিজিও দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী করে তুলছেন। ভারত আজ আর কারও কাছ থেকে নির্দেশ নেয় না, নিজেই নিজের পথ নির্ধারণ করে।”

তিনি আরও বলেন, ১৯৪৮ সালে যেমন রাজাকারদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল, আজ তেমনি পাকিস্তান প্রায়োজিত সন্ত্রাসবাদেরও ভরাডুবি হয়েছে। ভারতের ঐক্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হায়দরাবাদ মুক্তি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনস্থ সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশন আয়োজিত একটি ছবিমেলা ঘুরে দেখেন। উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, জি কিশন রেড্ডি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বান্ডি সঞ্জয় কুমার উপস্থিত ছিলেন।