শান্তিরবাজারে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরিকে ধন্যবাদ সাংসদ বিপ্লবের

আগরতলা, ২১ আগস্ট : শান্তিরবাজার বাজার এলাকার দুই পাশে আরসিসি ড্রেন নির্মাণের প্রস্তাব অবশেষে অন্তর্ভুক্ত হলো উদয়পুর-সাব্রুম জাতীয় সড়ক (এনএইচ-০৮)-এর বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায়। আজ এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকরিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।

প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্গত শান্তিরবাজার বাজার এলাকায় পরিকল্পিত ও টেকসই জল নিকাশী ব্যবস্থার দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরিকে চিঠি লিখেছিলেন সাংসদ বিপ্লব দেব। ওই এলাকাটি বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় ভোগে। যার ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় উদয়পুর থেকে সাব্রুম পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ৮-এর সম্প্রসারণ ও মজবুত করার কাজের সঙ্গে সঙ্গে শান্তিরবাজার বাজার এলাকার (কেএম ৮২.০৯০ থেকে কেএম ৮২.৮৪০ পর্যন্ত) আরসিসি ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই ঘোষণার পরই সাংসদ বিপ্লব দেব সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, শান্তিরবাজার এলাকার দীর্ঘদিনের জল নিকাশী সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ এটি। আমার অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গডকরিকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাবেন।

স্থানীয়দের মতে, শান্তিরবাজার বাজার অঞ্চলে সড়কের দুই পাশে উপযুক্ত নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণে বর্ষাকালে রাস্তায় জল জমে যায়। যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যান চলাচল মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়। নতুন ড্রেন নির্মাণ হলে সেই সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশাবাদী এলাকাবাসী।

একটি দীর্ঘদিনের দাবি এবার সরকারি পরিকল্পনায় স্থান পাওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছেন শান্তিরবাজারের জনগণ। কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ প্রচেষ্টায় এই উন্নয়নমূলক কাজের সাফল্য ভবিষ্যতের অন্যান্য দাবি পূরণের পথ সুগম করবে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।