শিলং, ০১ আগস্ট : মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে. সাংমা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইকে একটি চিঠি লিখেছেন, যেখানে তিনি ২৬ জুলাই দুর্গে আটক হওয়া কেরালার দুই সন্ন্যাসিনী সিস্টার বন্দনা ফ্রান্সিস এবং সিস্টার প্রীথি মেরি-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা “হতবাক করা ও ভিত্তিহীন” অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে সাংমা বলেন, মানব পাচার ও জোর করে ধর্মীয় ধর্মান্তরকরণের অভিযোগে এই গ্রেপ্তারের ঘটনা “ধর্মীয় বিভাজন তৈরির এক উদ্বেগজনক প্রবণতা”কে প্রতিফলিত করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, “এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ কেবল নিরীহ ব্যক্তিদের জীবন ও স্বাধীনতাকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে না, বরং এটি ধর্মীয় বিভাজনের একটি উদ্বেগজনক প্রবণতাকে তুলে ধরে।” তিনি আরও বলেন, “ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। অসহিষ্ণুতার কোনো স্থান নেই।”
আগ্রার ফাতিমা হাসপাতালে কর্মরত এই দুই সন্ন্যাসিনী ছত্তিশগড় থেকে তিনটি মেয়েকে আগ্রায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেসময় একজন টিটিই (ট্র্যাভেলিং টিকিট এক্সামিনার) মেয়েদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় যে, সন্ন্যাসিনীদের অনুরোধে তারা টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করছিল।
টিটিই-র মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয় কর্মীরা অভিযোগ করেন যে, সন্ন্যাসিনীরা জোর করে ধর্মীয় ধর্মান্তরকরণের চেষ্টা করছেন। এর ফলে একটি প্রতিবাদ শুরু হয় এবং তাদের আটক করা হয়।
সাংমা তার চিঠিতে একটি সুষ্ঠু তদন্ত, সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা এবং অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অফ ইন্ডিয়া এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে আবেদন করেছে।
সাংমা লিখেছেন, “এটি হয়রানি এবং মিথ্যা অভিযোগের একটি মামলা,” এবং তিনি ছত্তিশগড় সরকারকে ন্যায়বিচার এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।

