ইম্ফল, ২৪ জুলাই : ভারতের পুরনো ফুটবল টুর্নামেন্ট দুরান্ড কাপ এবার ইম্ফলে ফিরছে, যা ভারতের ফুটবলে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ১৩৪ তম এই সংস্করণটি ৩০ জুলাই থেকে খুমান লাম্পাক মেইন স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে। গত বছরের ভয়াবহ বন্যার পর স্টেডিয়ামটি পূর্ণভাবে পুনর্নির্মিত হয়েছে যুব বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, যা অঞ্চলের জন্য দৃঢ়তা এবং পুনর্জন্মের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট, যা ভারতীয় সেনাবাহিনী সরকারের সহযোগিতায় আয়োজন করে, এবার চারটি দল নিয়ে আসছে উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিযোগিতা। এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলি হল: ট্রাউ এফসি, নেরোকা এফসি, ভারতীয় নৌবাহিনী ফুটবল দল এবং রিয়েল কাশ্মীর এফসি। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচটি হবে স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাউ এফসি এবং নেরোকা এফসির মধ্যে।
এ বছরের দুরান্ড কাপের ম্যাচ সূচি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ এবং প্রতিটি ম্যাচেই রয়েছে দর্শকদের জন্য ভরপুর আকর্ষণ। ৩০ জুলাই টুর্নামেন্টের সূচনা হবে এক হাই-ভোল্টেজ স্থানীয় ডার্বি দিয়ে, যেখানে মুখোমুখি হবে ট্রাউ এফসি এবং নেরোকা এফসি। এরপর ১ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনী এফসি মাঠে নামবে রিয়েল কাশ্মীর এফসির বিপক্ষে। ৪ আগস্ট ট্রাউ এফসি মোকাবিলা করবে রিয়েল কাশ্মীর এফসিকে। ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে নেরোকা এফসি বনাম ভারতীয় নৌবাহিনী এফসির ম্যাচ, যা উভয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে গ্রুপ পর্বে টিকে থাকার দিক থেকে। এরপর ১০ আগস্ট নেরোকা এফসি খেলবে রিয়েল কাশ্মীর এফসির বিরুদ্ধে, এবং গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি ১২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে ট্রাউ এফসি ও ভারতীয় নৌবাহিনী এফসির মধ্যে। প্রতিটি ম্যাচেই রয়েছে চমকপ্রদ সম্ভাবনা ও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যা ফুটবলপ্রেমীদের জন্য মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।
এই বছরের দুরান্ড কাপ একটি নতুন পুরস্কারের কাঠামো নিয়ে আসছে। ব্যক্তিগত প্রতিভা পুরস্কৃত হবে তিনটি নতুন এসইউভি গাড়ি দিয়ে, যা দেওয়া হবে গোল্ডেন বুট (শীর্ষ গোলস্কোরার), গোল্ডেন গ্লাভ (সেরা গোলকিপার), এবং গোল্ডেন বাল (সেরা খেলোয়াড়) পুরস্কারের জন্য।
মানিপুরের ফুটবলপ্রেমী দর্শকরা ইতোমধ্যেই ট্রফি শোকেস অনুষ্ঠানে শক্তিশালী সমর্থন প্রদর্শন করেছে, এবং টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার সাথে সাথে বড় সংখ্যায় দর্শক আসার আশা করা হচ্ছে। খুমান লাম্পাক মেইন স্টেডিয়াম, যা ২০২২ সংস্করণে এক বিদ্যুতায়ন পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল, আবারও উন্মুক্ত হবে ফুটবলপ্রেমী দর্শকদের জন্য এবং মানিপুরের ফুটবল সংস্কৃতির সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ককে প্রদর্শন করবে।

