নয়াদিল্লি, ২৬ জুন : এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI-171 এর দুর্ঘটনার পর, ভারত সরকারের অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা-র শিকাগো কনভেনশন ১৯৪৪ এবং “এয়ারক্রাফ্ট (ইনভেস্টিগেশন অফ আকসিডেন্টস এন্ড ইন্সিডেন্টস) বিধিমালা, 2017”-এর অধীনে ভারত একজন স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে এই তদন্ত চালায়।
১৩ জুন ২০২৫ তারিখে এএআইবি একটি বহুবিষয়ক তদন্ত দল গঠন করে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন মহাপরিচালক, এএআইবি। এই দলে রয়েছেন একজন বিমান চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, একজন এটিসি অফিসার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড-এর প্রতিনিধিরা। বিমানটির নকশা ও উৎপাদনের দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই তদন্তে অংশগ্রহণের যোগ্যতা রাখে।
ফ্লাইটের দুটি ব্ল্যাক বক্স – ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার – যথাক্রমে ১৩ জুন একটি ভবনের ছাদ থেকে ও ১৬ জুন ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়। ব্ল্যাক বক্সগুলির নিরাপদ সংরক্ষণ, পরিবহন ও সুরক্ষার জন্য নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। আহমেদাবাদে এই ডিভাইসগুলি ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা ও সিসিটিভি নজরদারিতে রাখা হয়।
২৪ জুন ২০২৫ তারিখে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে সুরক্ষিতভাবে ব্ল্যাক বক্সগুলি দিল্লি নিয়ে আসা হয়। প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে দুপুর ২টা নাগাদ এএআইবি ল্যাবে পৌঁছায়। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে আরেকটি এএআইবি দলের মাধ্যমে ল্যাবে পৌঁছে।
২৪ জুন সন্ধ্যায় এএআইবি ও এনটিএসবি-এর প্রযুক্তিগত সদস্যদের সমন্বয়ে ডেটা উত্তোলন শুরু হয়। সামনের ব্ল্যাক বক্স থেকে ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল নিরাপদে বের করা হয়। ২৫ জুন সফলভাবে এর মেমরি মডিউল অ্যাক্সেস করে তথ্য ডাউনলোড করা হয়।
বর্তমানে সিভিআর ও এফডিআর-এর তথ্য বিশ্লেষণ চলছে। এর মাধ্যমে দুর্ঘটনার পূর্ব মুহূর্তগুলির পুনর্গঠন এবং সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণের চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায় ও বিমান নিরাপত্তা আরও জোরদার হয়।এই তদন্তপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক নিয়ম ও ভারতীয় আইনের আওতায় সময়নিষ্ঠভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

