আগরতলা, ১৭ মার্চ : গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছন বা ছাউনির তৈরি ঘর এখন কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে। এক সময় যেখানে প্রতিটি গ্রামে একাধিক ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়তো, সেখানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই ধরনের ঘরের সংখ্যা এখন প্রায় শূন্য। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে ছন ও ছনের তৈরি ঘরের পরিমাণ কমে গেছে, যা পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকেও একটি বড় ক্ষতি হিসেবে দেখা যায়।
ছন ব্যবসায়ী চাম্পা হাউর এলাকায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপকালে জানান, তিনি গত ৩০ বছর ধরে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ এই ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা, এখন ছনের দাম তোলা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি তকছায়া এলাকা থেকে ছন সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য বের হয়েছেন।
ছন কেটে ধানের মতো সাজিয়ে কিছুদিন শুকানোর পর তা ভার বেঁধে বাজারে নিয়ে যাওয়া হতো। এক সময় এই ধরণের ছনখোলা গ্রাম্য এলাকায় বেশ পরিচিত ছিল, কিন্তু এখন আর সেই দৃশ্য প্রায় দেখা যায় না। আধুনিক সভ্যতায় মানুষ এখন পাকা-আধাপাকা বাড়ি নির্মাণে ব্যস্ত, এবং ছাউনি হিসেবে টিনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় গ্রামে ছনের ব্যবহার ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
এই পরিবর্তন শুধু গ্রামীণ ঐতিহ্যের ক্ষতি করছে না, বরং পরিবেশের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, টিনের অধিক ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং এতে গ্রাম্য এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্যও বিপর্যস্ত হচ্ছে।