‘বড়োল্যান্ড শান্তি চুক্তি নিয়ে একদা উপহাস তাচ্ছিল্য করত কংগ্রেস, আজ বড়োভূমিতে কেবল শান্তি ও উন্নয়ন, তাঁরা শক্তিশালী’: অমিত শাহ

কোকরাঝাড় (অসম), ১৬ মাৰ্চ (হি.স.) : ‘একদা বড়োল্যান্ড শান্তি চুক্তি নিয়ে উপহাস ও তাচ্ছিল্য করত কংগ্রেস। অথচ এই শান্তি চুক্তির বলে বড়োল্যান্ড আজ পুরোপুরি শান্ত, কেবল উন্নয়ন আর উন্নয়ন। আজ এখানকার মানুষ শক্তিশালী।’ অসমের কোকরাঝাড়ে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আজ রবিবার কোকরাঝাড় জেলা সদর সংলগ্ন দোতমায় অনুষ্ঠিত ‘অল বডো স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (এবিএসইউ)-এর ৫৭-তম ত্রিদিবসীয় বার্ষিক সম্মেলনের শেষ দিনের হাজারো জনতার সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রদত্ত ভাষণে তিনি ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি ‘বডোল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিয়ন’ (বিটিআর) শান্তি চুক্তির রূপান্তরমূলক প্রভাবের ওপর জোর দিয়ে বলেন, স্বাক্ষরিত বিটিআর ত্রিপাক্ষিক চুক্তিটি এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি এনে দিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় একে ঘিরে সংশয়বাদের কথা স্মরণ করে অমিত শাহ বলেন, ‘যখন বিটিআর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তখন কংগ্রেস দল সহ বিরোধী বহু সমালোচক একে অকার্যকর বলে উড়িয়ে দিয়ে তাচ্ছিল্য করেছিলেন। তবে আজ অসম এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়ই চুক্তির ৮২ শতাংশ বিধান ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত করেছে।’

বড়োল্যান্ডের জনতাকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘আগামী দু-বছরের মধ্যে ভারত সরকার চুক্তিটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে, বড়োল্যান্ডে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার।’

বড়োল্যান্ডের অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য খোলাসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ বলেন, ‘২০২২ সালের ১ এপ্রিল সমগ্র বিটিআর এলাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন (এএফএসপিএ বা আফসপা) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটা নিশ্চিতভাবে স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

তিনি বড়োল্যান্ডের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের প্রশংসা করে বলেন, কোকরাঝাড়ের মাশরুম কীভাবে ‘এক জেলা এক পণ্য’ উদ্যোগের অধীনে জাতীয় স্বীকৃতি অর্জন করেছে এবং এখন দিল্লির হোটেলগুলিতেও তা প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়া তিনি বলেন, বডোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ডুরান্ড কাপের সফল আয়োজন এখানকার উন্নয়নের প্রমাণ হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।

বোড়োল্যান্ডের ভবিষ্যত প্ৰসঙ্গে অমিত শাহ এখানকার যুবক-যুবতীদের বিশ্বব্যাপী ক্রীড়া সাফল্যের জন্য আকাঙ্ক্ষা করতে উৎসাহিত করেছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে এতদঞ্চলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি ২০৩৬ সালে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকে প্রশিক্ষণ এবং অংশগ্রহণের আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *